নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসার পর বিমানবন্দর ✤স্টেশনেই দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে। বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে যাত্রীদের আর্তচিৎকারে চালক বুঝতে পারেন অগ্নিসংযোগের বিষয়টি। গতি থামাতে থামাতে ততক্ষণে ট্রেনটি চলে আসে তেজগাঁও রেলস্টেশনে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে পেছনের কয়েকটি বগি। তাড়াহুড়োয় অনেকে বগি থেকে বের হতে পারলেও মা-শিশুসহ দগ্ধ হয়ে মারা যান চারজন।
আর কয়েক মিনিট পরেই কমলাপুর স্ট꧙ဣেশনে ঢোকার কথা ছিল মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটির। অনেকে নামার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। আবার অনেকে ছিলেন ঘুমে আচ্ছন্ন।
প্🐻রত্যক্ষদর্শী সূত্রের বরাতে জানা যায়, বিমানবন্দর স্টেশন পার হয়ে খিলক্ষেতে এলে জেগে থাকা যাত্রীরা হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তা🔴দের চিৎকারে চালক তেজগাঁও স্টেশনের কাছাকাছি দ্রুত ট্রেনটি থামান। কিন্তু ততক্ষণে নির্মম পরিণতি হয় চারটি তাজা প্রাণের।
যাত্রীদের বরাত দিয়ে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স্টেশন পার হওয়ার পর যাত্রীরা পেছনের বগিতে আগু🧸ন দেখতে পান। পরে তারা ‘আগুন আগুন’ চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামান। আগুনে ট্রেনটির তিনটি বগি পুড়ে যায়।☂ এর মধ্যে একটি বগি থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, “ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৩টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আমাদে🎐র ৩টি ইউনিট সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নির্বাপণ ܫকরে। একটি বগি থেকে শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।”
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন নাদিরা আক্তার পপি (৩২) ও ত♚ার ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন। বাকি দুজন পুরুষ। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। চারজনের লাশ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্ꦛদর স্টেশন পার হয়ে ট্রেনটি খিলক্ষেতে এলে যাত্রীরা আগুন দেখতে পান। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁওয়ে থামান।
সোমবার (১৮ ডি♑সেম্বর) রাতে নেত্রকোনা𝄹 থেকে ছেড়ে আসে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস।