রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রবাসী চিকিৎসক একেএম আব্দুর রশিদ (৮৫) হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর ম༒িন্টু রোডে অবস্থিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএম🅠পি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও খুলনা🍒র ಌডুমুরিয়ার শাহপুর বাজার এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, মো. নাইম খান (২২), মো. জাহিদুর রহমান রিফাত (২০) ও মো. আবু তাহের শিকদার ওরফে শাওন (২২)।
ঘটনার বিবরণ জানিয়ে মাসুদ আলম বলেন, “ডা. একেএম আব্দুর রশিদ পশ্চিম ধানমন্ডি এলাকায় নিজস্ব বাসায় বসবাস করতেন। ওই বাসার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠে নাইম ও জাহিদুর রহমান। বকেয়া ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন সময় আব্দুর রশিদের স্ত্রী সুফিয়া রশিদ ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে মনোমালিন্য হতো। এ ছাড়া রাত ১০টার পর গেট বন্ধ হলে বাসায় প্রবেশ করা নিয়ে বাধত দ্বন্দ্ব। এতে আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল ওই ভাড়াটিয়ারা। সম্প্রতি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পরিকল্পনা করে ওই দুইজন। নিজেদের ব্যবসার টাকা জোগান দিতে আব্দুর রশিদের বাসায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে তারা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আব্দুর রশিদকে হত্যা করা হয়।♓”
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার বলেন, “আব্দুর রশিদ বছরের অধিকাংশ সময় যুক্তরাজ্যে অবস্থান করতেন। মাঝেমধ্যে তিনি বাংলাদেশে আসতেন। গত ১৫ নভেম্বর 🌠রাত আড়াইটার দিকে শাওনকে সঙ্গে নিয়ে ওই দুইজন সীমানা প্রাচীর টপকে আব্দুর রশিদের বাসায় প্রবেশ করে। আব্দুর রশিদ অভিযুক্তদের উপস্থিতি টের পান। প্রবেশের পর ভুক্তভোগীর সঙ্গে দুষ্কৃতকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সুফিয়া রশিদ পাশের কক্ষ থেকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে একজন তার মুখ চেপে ধ🅷রে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা ধারাল চাকু দিয়ে আব্দুর রশিদের বুকে একাধিকবার আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় তার স্ত্রীর চিৎকারে দুষ্কৃতকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করেন।”
মাসুদ আলম আরও বলেন, “এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে, ঘটনার আগের বিভিন্ন সময়ে ওই বাসায় মেস হিসেবে বসবাসকারী ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরে শুক্রবার খুলনার ডুমুরিয়ার শাহপুর বাজার এলাকা থেকে নাইম খান ও জাহিদুর রহমান রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাজারীবাগ থানার অপর একটি টিম মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে আবু তাহের শিকদার ওরফে শাওনকে গ্রেপ্ত♐ার করে।”