পুলিশ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি নিয়ে যে আল🎀োচনা তৈরি হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন সংগঠনের সভাপতি মনিরুল ইসলাম। তিনি বলಞেছেন, “গণমাধ্যমকে অর্ডার করিনি, অনুরোধ করেছিলাম।”
সোমবার (১ জুলাই) 🐭সকালে গুলশানে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে ‘হলি আর্টিজান’-এ জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম জানান, গণমাধ্যমকে কোনো ‘নির্দেশন💧া বা অর্ডার’ তারা দেননি, যাচাই-বাছাই করে সংবাদ প্রকাশের ‘অনুরোধ’ করেছিলেন মাত্র। কারণ, গণমাধ্যমে অনেক তথ্য ‘অতিরঞ্জিত ও খণ্ডিতভাবে’ এসেছে বলে𒈔 তারা মনে করছেন।
হলি আর্টিজানে হামলার প্রসঙ্গ টেনে মনিরুল ইসলাম বলেন, “আজ থেকে ৮ বছর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ওই রাতে 🀅পুলিশের দুই সদস্যসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা নিহত হয়েছিলেন। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও আলোচিত ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। অনেক দেশ মনে করেছিল এই জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আরও জঙ্গি হামলায় বাংলাদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে।”
এসবি প্রধান বলেন, “ওই ঘটনার পর আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযানে নামি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের পাশাপাশি সচেতনতাসহ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নানা কৌশল গ্রহণ করি। হলি আর্টিজানের ঘটনার পরপরই শোলাকিয়াতে একটি হামলা হয়। এরপর থেকে জঙ্গিরা ছোট কিংবা বড় কোনো হামলা করতে পারেনি। জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলে আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে আগেই অভিযান পরিচালনা করি। ফলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরꦛি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, যা এখনো আছে।”
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, “জঙ্গিরা একটি ভুল মতাদর্শ নিয়ে কাজ করে। ফলে এটি দমন করা অনেক লম্বা 𒁃সময় প্রয়োজন ও জটিল প্রসেস। এই মতাদর্শ এখনো রয়েছে। তাই তারা অনলাইন ও বিচ্ছিন্নভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গোয়েন্দা তথ্য, গবেষণা ও ক্ষেত্র বিশেষে অভিযান পরিচালনা করছে।”