শহীদ নূর হোসেন দিবসে আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি প্রতিহত করতে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট ও দলটির কার্যালয় ঘিরে রয়েছেন ছাত্র-জনতা। তারা বিক্ষোভ করছেন, স্লোগান দিচ্ছেন ও সমাবেশ করছেন। এতে গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল সীমিত ও বন্ধ হ𝕴য়ে পড়েছে।
রোববার (১০ নভেম🔯্বর) সকাল থেকেই জিরো পয়েন্টে জড়ো হতে থাকেন অনেকে। বেলা যত বেড়ে😼ছে সমাগত ততই বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। অদূরে জিরো পয়েন্টে সমাবেশ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে গুলিস্তান অভিমুখে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া আশপাশের অনে🦂ক সড়কেও এর প্রভাব পড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহন কম দেখা গেছে। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চলাচলও কমে গেছে।
অতি ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তান মোড় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজধানীর অন্যান্🐻য ব্যস্ত এলাকাও অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়েছে। বিশেষত ব্যস্ততম গাবতলী, মিরপুর, কল্যাণপুর, বাংলামোটর, ফার্মগেট এলꦡাকার সড়ক অনেকটাই ফাঁকা। এসব এলাকায় যানবাহনের উপস্থিতিও কম ছিল। ফলে যাত্রী ও পথচারীদের দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
যানবাহনের চালক ও পথচারীরা বলছেন, “রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করায় মানুষের মাঝে ভয় তৈরি হয়েছে। এ কারণে রাজধানীতে মানুষ কম বের হয়েছে। সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়েছে। যা꧑নবাহনও কম দেখা যাচ্ছে।”
পথে বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীরা বলছেন, “বহু সময় ধরে অপেক্ষা করেও বাস বা অন্যান্য যাবহন পাওয়া যাচ্ছে ন🦋া।” একই রকম অভিজ্ঞতারা কথা জানালেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, “সায়েন্সল্যাবে আধা ঘণ্টা ধরে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাওয়া যাচ্ছে না। বাসায় ফেরাই কঠিন হয়ে পড়েছে।”
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী মৌমিতা মৌ বললেন, “সকালে গুলিস্তান মোড় বন্ধ থাকায় এলিফ্যান্ট রোডের অফিসে যাওয়া সম্ভব হয়ন🦄ি। পরে খিলগাঁও এলাকায় ফিরতে হয়েছে।”