পাবনা জেলার বেড়া পৌরসভার মেয়র এস এম আসিফ শামস। তার বাবা জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকু। প্রায় ২০০ কোটি টাকা♍ রাজস্ব ফাঁকির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আসিফ সপরিবারে রোববার (৩০ জুন) বিদেশে চলে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পারিবা🌜রিক সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দৈনিক ইত্তেফাক।
প্রতিবেদনের তথ্🌟যমতে, আসিফের বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পাবনা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ২০২২ সালের ২৩ মে পাবনার বেড়া থানায় পৌঁছে। দীর্ঘদিনেও পুলিশ সেই পরোয়ানা তামিল করেনি। বেড়া থানায় সেই পরোয়ানা ফাইলবন্দি হয়ে আছে। তবে বিষয়টি বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবগত রয়েছেন। এই পরোয়ানা মাথায় নিয়েই গত ৩০ জুন সপরিবারে আসিফ থাইল্যান্ড ভ্রমণে গেছেন।
এ নিয়ে বেড়া পৌর এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মেয়র হয়তো আত্মগোপনে চলে গেছেন। আর হয়তো ফিরবেন না। আবার কেউ বল🌊ছেন, এক দেড় মাস মেয়র সাহেব সপরিবারে থাইল্যান্ডে থাকবেন। পরে সব কিছু ‘ম্য🧔ানেজ’ করে আবার দেশে ফিরবেন।
১☂৯১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭১ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ২০২২ সালের ২৩ মে ওই পরোয়ানা জারি করা হয়। এই পরোয়ানা তামিল করার জন্য পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিস্তা করিম নথিতে স্বাক্ষর করেন। এতে বলা হয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অফিসার ইনচার্জ বেড়া থানাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভিশন টেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম আসিফ শামস। রাজধানীর গুলশানের খাজা টাওয়ারে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানির চেয়ারম্যান আসিফ শামসের নামে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে দুদকে একটি অভিযোগ জমা♚ পড়ে। এতে উল্লেখ করা হয়, ভিওআইপির লাইসেন্স ফি বাবদ তিনি বিটিআরসিকে ১৫ কোটি টাকা অগ্রিম এবং প্রতি বছরে ৭ কোটি টাকা হিসাবে তিন বছরে ২১ কোটি টাকা এবং সর্বমোট ৩৬ কোটি টাকা দিয়েছেন। তবে ২০১৪ সালে সার্বিকভাবে ভিশন টেলের কাছে ১৪৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পাওনা থেকে যায়। আট বছর পরে ২০২২ সালে সুদ-আসলে তা হয় ১৯১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭১ টাকা।
এ বিষয়ܫে বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, “এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনেক আগেই থানায় এসেছে। উনি বেড়া পৌরসভার মেয়র। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তা🐻রি পরোয়ানার বিষয়টি অবগত করেছি। তিনি (মেয়র) পুলিশকে জানিয়েছেন যে আদালতে টাকা জমা দিয়ে জামিন নেবেন। তবে দুই-তিন দিন হলো জানতে পেরেছি, তিনি বিদেশ গেছেন।”