আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি মধ্যে নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, “সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। এটি যেভাবেই হোক না কেনো নির্বাচন হতে হবে। কারণ তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে একটা অরাজকতা পরিস্থিতি🐓 সৃষ্টি হবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।”
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্🔴বর) নির্বাচন কমিশন ভবনে তিনি এসব কথা বলেন।
আলমগীর বলেন, “নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো দেশের যেকোনো সংস্থা আমাদের আবেদন করℱতে পারে। কেউ করলে আমরা অনুমোদন দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্র🐼ালয়ে পাঠালে তারা চলে আসে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফেম্বোসার সদস্যদের দেশ বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের আমরা ইনভাইট করি। আমরা শিগগিরই তাদের ইনভাইট জানাব। সার্কভুক্ত দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শিগগির🍃ই তাদের আমন্ত𝐆্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।”
আলমগীর বলেন, “বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। আমরা চাই দেশি-বিদেশি বেশিসংখ্যক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো একটি সংস্থা। পৃথিবীতে তো আরও অনেক দেশ আছে। ইউরোপে অনেক দেশ আছে, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় অনেক দেশ আছে, সার্কভুক্ত দেশে আছে। এসব দেশ থেকে আসতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থে🅺কে বলেছে পূর্ণাঙ্গ না, ছোট পরিসরে আসতে পারে। পরবর্তীতে হয়তো তারা মনেও করতে পারে বড় পরিসরে আসব। এটি তো চূড়ান্ত কোনো কথা না।”
রাজনীতি পরিস্থিতি কি ভোটমুখী মনে করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, “নির্বাচন কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন করার জন্য কিন্তু প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়। প্রস্তুতি কিন্তু আগে থেকে নিতে হয়। যেমন ভোটার তালিকা করতে হবে, ভোটকেন্দ্র করতে হবে। যারা নির্বাচনে দায়𝐆িত্ব পালন করবে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ব্যালট পেপার কেনার জন্য কাগজ প্রকিউরমেন্ট করতে হবে। নির্বাচন করার জন্য বাক্স লাগবে, সেগুলো কিনতে হবে, কালি লাগবে। সুই, সুতা নানান ধরনের জিনিস লাগবে। এখন নির্বাচন ডিসেম্বরে নাকি জানুয়ারিতে হবে সেটি পরের বিষয়। নির্বাচন যখনই করেন। আপনাকে প্রস্তুতি তো আগে থেকেই রাখতে হবে।”
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা কিন্তু সরকারি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি না। আমরা সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছি এবং সংবিধানের দোহাই শপথ নিয়েছি। সেই শপথ তো আমাদের পূরণ করতে হবে। আমেরিকা আসবে না সেটি তো বলেনি। আমেরিকা এলে আমরা তো খুশি। আমরা তো বলেছি সবাই আসেন। যে সমস্ত যোগ্যতার প্রয়োজন যে সমস্ত শর্ত আছে সেগুলো পূরণ করলে সবাই আসতে পারবে।”