‘হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, আমরা সবাই শান্তি চাই’-এই স্লোগানে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তারা বিভিন✱্ন মন্দির পরিদর্শন করে সেখানে পাহারার ব্যবস্থা করেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনে যান বিএনপꦯির নেতাকর্মীরা। এসময় তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এসময় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন সাকিফ, মোহাম্🌼মদপুর থানা বিএনপির সাবেক সহসভﷺাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সদস্য হাজী মো. মোস্তফা, মো. সোহাগসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত🐷্যাগ করে দেশত্যাগের পর একটি মহল দেশে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চাജলাচ্ছিল। এ ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে বিভিন্ন মন্দির ও বাসা-বাড়িতে পাহারা বসিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির এমন উদ্যোগে খুশি হিন্দু সম্প্র♓দায়ের মানুষ। তারা বলেন, “বিএনপির ভাইয়েরা আমাদের মন্দির পাহারা দিচ্ছেন। এটা খুবই ভালো লাগার। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই। কোনো ধর্মীয় সংঘাত চাই না।”
অ্যাডভোকেট সারোয়ার হোসেন সাকিফ বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। কোনো দুষ্কৃতকারী ෴যেন হিন্দুদের জানমাল ও মন্দিরে হামলা করতে না পারে সেজন্য পাহারার ব্যবস্থা করেছি। আমরা নিজেরাও বিভিন্ন মন্দিরে যাচ্ছি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কথা বলছি, কোনো সমস্যা হলে আমাদের জানাতে বলেছি। এই দেশ সবার। এখানে হিন্দু-মুসলিম কোনো ভেদাভেদ থাকতে পারে না। আমরা সবাইকে নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই।”
এদিকে সংখ্যালঘুদের মন্দির ও বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বাংলাদেশ হဣিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, “দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে মন্দির ও হিন্দু সংখ্যালঘুদের ঘর পাহারা দিচ্ছেন। বিষয়টাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীসহ সবার প্রতি অনুরোধ, নতুন সরকার আসা পর্যন্ত সংখ্যালঘু এলাকা, প্রতিষ্ঠান ও মানুষকে তারা নিরাপত্তা দিক।”