বিল্ডিং কোড মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 🌼বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে সঠিকভাবে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে কি না, তা সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও এটি অনুসরণ করতে হবে। অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস সরবরাহ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্ꦛথা—এগুলো রেখেই নির্মাণ করতে হবে।
শন꧙িবার (২৫ মে) সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবাজারে ১০ তলা বঙ্গবাজার পাইকারি মার্কেটসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিন🔴ি।
প্রধানমন্ত🎐্রী বলেন, “আমি আজকে এই জায়গাতে আসতে পেরে আনন্দ🍨িত।”
তিনি বলেন, সরকার𝕴 উন্নত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে কাজ করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল হিসেবে মানুষের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা ফিরে আসবে। বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এসে এই দেশে অস্ত্র চোরাকারবারির যে রুট, সেটা বন্ধ করেছে। ভারতে উলফা থেকে🍸 শুরু করে যেখানে যেখানে যারা অস্ত্র সাপ্লাই দিত, সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। তাদেরও যাতে শꦜান্তি আসে, সেভেন সিস্টারে সেই ব্যবস্থাটা আওয়ামী লীগ করেছে। এটা সব থেকে বড় কাজ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের যে ল্যান্ড বাউন্ডারি (ছিটমহল) সেটাও বিনিময় করে সারা বিশ্বে একটা দৃষ্🦩টান্ত স্থাপন করেছি। বিশাল সমুদ্রসীমা আমরা জয় করেছি। যারা আগে ক্ষমতায় ছিল, তারা (বিএনপি) তো এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগই নেয়নি। জানতই না।”
বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “তারা আসছিল লুটপাট করতে, দুর্নীতিဣ করতে, অস্ত্র চোরাকারবা𝔉রি করতে, সে কাজেই ব্যস্ত ছিল, আর মানুষ খুন করতে। ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা থেকে শুরু করে, যত রকমের মানুষ, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার, ধরে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার, দিনের পর অত্যাচারই করতে পেরেছে।”
তিনি বলেন, “এই দেশটাকে তারা কোথায় নিয়ে গিয়েছিল! সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ, অস্ত্র চোরাকারবারি; ওই তারেক জিয়া তো অস্ত্র চোরাকারবার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ওখানে বসে (লন্ডনে) এখন নানাভাবে ওই অগ্নি সন্ত্রাস দিয়ে মানুষ মারা, ম🍨ানুষ খুন করা, আগুন দিয়ে মানুষকে পোড়ানো, এসব কাজ করে বেড়ায়।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের হাতে হাতে ডিজিটাল ফোন দিয়েছে আওয়া🐓মী লীগ। আর বিএনপি সব কিছু চুরি করেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে তরুণদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ঈদুল আযহাকে সামনে র🙈েখে যেকোনো ধরনের খাদ্য মজুদদারি ও ভেজালের ব💦িরুদ্ধেও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সবা🍒ইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিদ্যু𝓰তের অপচয় রোধ করতে হবে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় নিজ দায়িত্বে লাইট-ফ্যানের সুইচ বন্ধ করতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক নির্মূল করার জন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করে, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার🌌ের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণিবিতান’; পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট পর্যন্ত আট লেনের ‘বীর মুক্🐼তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণি (ইনার সার্কুলার রিং রোড) ’, ধানমন্ডি হ্রদে ‘নজরুল সরোবর’ এবং শাহবাগে ‘হোস🍒েন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান’ আধুনিকীকরণ শীর্ষক চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শে🌼খ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদꦉস্য আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।