দেশব্যাপী সর্বাত্ম🙈ক ‘অসহযোগ আন্দোলন’র ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলন সফল করতে ছাত্র-জনতার প্⛎রতি একগুচ্ছ জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে তারা।
শনিবার (৩ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহ𝔍িদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্ꩲযমে এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।
একইসঙ্গে ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান’ লিখে নাহিদ ইসলাম, মো. মাহিনসহ একাধিক সমম্বয়ককে ফেসꦕবুকে পোস্ট করতে দেখা গেছে।
নির্দেশনাগুলো হলো
* কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না।
* বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না।
* সব ধরনের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
* প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না।
* সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।
* বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।
* দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাইবোনেরা কাজে যাবেন না।
* গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।
* জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববার ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।
* পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যতীত কোনো ধরনের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধু থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
* দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
* বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যতীত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
* আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না। ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
* বিলাসদ্রব্যের দোক♏ান, শো-রুম, বিপনী-বিতান, হোটেল, মোটেল, রে🎶স্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
হা🎉সপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা যেমন, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহন সেবা চালু থাকবে।
এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টඣা পর্যন্ত খোল💯া থাকবে বলে জানানো হয়েছে।