কলকারখানাসহ সব ক্ষেত্রে শ্রমিক-মালিক সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “আমার একটা বড় আশা, যে সময় মেয়াদকালে আমরা এখানে থাকব, এই সময়টা শ্রমিক-মালিকের সম্পর্কটা সুন্দরভাবে গড়ে তোলা। একটি জ𒉰াতির সংস্কার শুধুমাত্র সরকারের সংস্কার হলে হয় না।”
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজ𒁏ধানীর একটি হোটেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘ন্যাশনাল বিজনেস ডায়ালগ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা সংস্কার চাই। আপনাদের অনুরোধ, আমাদের ওপর যে সংস্কারের গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই দায়িত্ব দিয়ে আপনারা দর্শকের গ্যা﷽লারিতে চলে যাবেন না। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমরা একসঙ্গে সংস্কার করব। এটি আমাদের সবার দায়িত্ব। আপনারা নিজ নিজ জগতে সংಌস্কার আনুন।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনি ব্যবসায়ী হলে আপনার ব্যবসায় সংস্কার আনুন। ব্যবসায়ী গোষ্ঠীরা তাদের নিজ নিজ সমিতির মা🗹ধ্যমে সংস্কার আনুক। সমিতিতে সংস্কার আনুন। নতুন করে সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধন করুন। আপনি শ্রমিক হলে আপনার ক্ষেত্রে আপনি সংস্কার করুন। আপনি রাজনৈতিক নﷺেতাকর্মী হলে আপনার ক্ষেত্রে সংস্কার করুন। আপনি প্রতিষ্ঠান প্রধান হলে আপনার প্রতিষ্ঠানে সংস্কার আনুন।”
ড. ইউনূস বলেন, “আমি এটিকে সুযোগ হিসেবে নিতে জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। এ সংস্কারের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চাই। এ যাত্রা আমাদের পৃথিবীর একটি সম্মানিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠি🍸ত করুক, এটি আমাদের সবার কাম্য। এই সুযোগ জাতির জীবনে বার🧔বার আসে না। অতীত আর টানবে না আপনাকে। নতুনভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এটা যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। আর হারালে জাতির আর কিছুই অবশিষ্ট থাকব না।”
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমি যতদিন আছি, ততদিন আপনাদ🦄ের সামাজিক ব্যবসা করার অনুপ্রেরণা দিয়ে যাব। সবসময় সরকারের ওপর ভরসা করবেন না। নিজের টাকায় ব্যবসা হবে। কিন্তু মুনাফা থাকবে না। মেকিং মানি ইজ হ্যাপিনেস। বাট মেকিং আদার পিপল হ্যাপি ইজ মাচ মোর হ্যাপিনেস। মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেলে, অনেক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। তবে সেই দেশটাকে প্রতিযোগী হিসেবে দাঁড়াতে হবে।”
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান প্রথাগত আন্দোলন ছিল না জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ব♈লেন, “তারা এটা জেনেই রাস্তায় নেমেছিল যে, নাও ফিরতে পারে বাড়িতে। প্রাণের বিনিময়ে তারা লক্ষ্য অর্জন করে গেছে। তরুণরা নতুন বাংলাদেশের জন্য লড়াই করেছে। তারা এ সুযোগ না করে দিলে, জাতিকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা যেত না। তাই আমাদের সুস্থ-সমৃদ্ধ দেশ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।”