মদকে মাদক থেকে বের করে 𝓡আনতে আরও সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ সংক্রꩲান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবা꧃বে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা যেটা ফলো করছি, সবগুলোকেই মাদক🐈 বলে চিহ্নিত করছি। লিকারকে কীভাবে আলাদাভাবে দেখা যায়, সেটা নিয়ে আমরা আবারও বিস্তারিত আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব। যেহেতু প্রস্তাবগুলো এসেছে, আমরা আবার একটু বসে এটা ঠিক করব।”
মন্ত্রী বলেন, “আমরা 🌸মনে করি মদ বা অ্যালকোহল যেগুলো আছে দেশে। এ বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন তারা বলছেন, অনেক আগে থেকেই এটাকে মাদক বলেই চিহ্নিত করা আছে। কোর্টেরও একটি নির্দেশনা আছে। তাই এটাকে আমরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব।”
এꦚর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর মদকে মাদকদ্রব্যের আইনের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা কেন বেআইন𝐆ি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
ওই⛄ সময় বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ𒁏 এ আদেশ দেয়।
আদালতের আবেদনে𓆏র পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
পরে আইনজীবী আহসানুল করিম♔ বলেন, “মদ এবং অন্যান্য মাদককে একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। অনেক মাদক আছে, যেগুলো আমদানিযোগ্য না, যেগুলো বহন করা অপরাধ। অ্যালকোহল আমদানি-রপ্তানিযোগ্য পণ্য। কিন্তু ইয়াবা, আইসসহ আরও অনেক মাদকদ্রব্য আছে যেগুলো নিষিদ্ধ। এগুলো তো আমদানি বা রপ্তানিযোগ্য না। সে জন্য যারা ব্যবসা করেন, তাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়।”
সুতরাং এই আইনকে এক সূত্রে করা বা একই সংজ🌃্ঞায় করা কেন সংবিধানের ৩১ ও ৪০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছে বলে জানান এই আইনজ💛ীবী।
এরপর ২৩ ডিসেম্বর সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও মদ নিয়ে আলোচনা হয়। ইয়াবা, এলএসডি, 🌠আইস, ফেনসিডিল, হেরোইনের মতো মাদকের হাত থেকে তরুণ ও যুবকদের মনোযোগ সরাতে মদ ও গাঁজায় ছাড় পক্ষে মত আসে সেখান থেকে।
আলোচনায় দাবি করা হয়,🔴 অ্যালকোহলের ওপর কিছুটা ছাড় দিলে মাদকꦏ সেবন কমতে পারে। একই সঙ্গে গাঁজা সম্পর্কে আরও চিন্তাভাবনা করা উচিত বলে মত উঠে আসে এই আলোচনায়।
মাদক নিয়ন্ত্রণে দুর্গম এলাকায় হচ্ছে বর্ডার রুট
দেশের সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক যাতে দেশের ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে এ জন্য দুর্গম এলাকায় বর্ডার রুট তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান স্ব𒆙রাষ্ট্রমন্ত্রী। এই রুট তৈরি হলে মাদকের বিস্তার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয় না। ভারত বা মিয়ানমার থেকে আসে। মাদকের স্বর্গরাজ্য হলো মিয়ানমার। আমাদের টেকনাফের যতো উ🦋পরে যাবেন এটা ইন্যাক্সেসেবল জায়গা। এটা হেঁটে যেতে হলেও বর্ডারে যেতে দুই থেকে তিনদিন লাগবে। কারণ কখনো পাহাড়ের উপরে উঠবেন বা নিচে নামবেন, কখনো পানির উপরে যেতে হবে বা দুর্গম বনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সে জায়গায় আমরা বর্ডার রুট করছি। এটা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা মনে করি বছর ℱদু-একের মধ্যে এটা শেষ হয়ে যাবে। বর্ডার রুট হয়ে গেলে আমাদের সীমান্ত রক্ষীরা এখানে গিয়ে পাহারা দিতে পারবে। রুটটা চালু থাকলে এ ধরনের মাদক থেকে অনেকাংশেই আমরা মুক্তি পাব বলে আশা করি। শতভাগ হবে এটা আমরা আশা করি না, কিন্তু অনেকখানিই আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।”
আসাদুজ্জামান খ🍷াঁন বলেন, “টেকনাফের অবস্থা ভালো করে জানেন, টেকনাফের অধিবাসীরা, এটা শুনলে হাসিও পায়, তারা বলে এটা তো মাদক না। তারা বলে ওষুধ, ট্যাবলেটকে (ইয়াবা)। এজন্যই আমরা বলেছি আগে জনগণকে সচেতন করতে হবে। এটা না হলে পুলিশ-কোস্টগার্ড কিছুই করতে পারবে না। সেটাই আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে যা প্রয়োজন আমরা করব।”