তখন আমাদের স্লিপারের ধারনাই ছিল না। এর আগে আমরা চার ভাইবোন বাসায় খড়ম পরতাম। মেয়েদের🌄 খড়মে লাল নীল ফুলের ছবি পেইন্ট করা থাকতো, ছেলেদেরটায় শুধু সাধারণ কালো বেল্ট। বিকেলে খেলা শেষে পা ধুয়ে খড়ম পরে খটর খটর শব্দ তুলে হ্যারিকেনের আলোয় কেবল এঘর ওঘর করতাম। ছেলেরাই ঈদের পোশাকসহ সব ঈদের বাজার করতো। আমরা ফে🐭নীতে থাকতাম।
সে ঈদে আমার বয়স ছিল ছয় কি সাত। আব্বা রোজার মধ্যেই ফেনী থেকে অফিসের কাজে ঢাকা গেলেন। আমরা চার ভাইবোন খুশিতে অপেক্ষা করতে থাকলাম, এবার ঈদের বাজার ঢাকা থেকে হচ্ছে। আব্বার আনা কাপড়ে আর আম্মার ডিজাইনে তার সিঙ্গার মেশিনের দ্বারা নিশ্চয় একটা অসা🍸ধারণ ফ্রক হবে!
আব্বা এসেছেন। সবাই তাকে ঘিরে বসেছি। ট্রাঙ্ক থেকে একটার পর একটা জিনিষ বেরুচ্ছে আর আমরা হা হয়ে যাচ্ছি। সবচেয়ে অবাক হলাম সদ্য চালু হওয়া স্পঞ্জের স্যান্ডেল দেখে। তার আবার আলাদা লাল নীল স্ট্র্যাপ। তেল লাগিয়ে বা সাবান লাগিয়ে সাদা কিরিকিরি ডিজাইনের সোলের ওপরটায় যে তিনটি ফুটো আছে তাতে গুঁজে দিলেই স্যান্ডেল হয়ে🔯 যাবে। কিন্তু এগুলোযে আসলে স্লিপার সে ধারনাই নেই।
আমরা ফুর্তিতে🐬 বাঁচি না, এবার ঈদে আমরা স্পঞ্জের স্যান্ডেল পরবো।
ঈদের দিন নতুন জামা আর দুই স্ট্র্যাপের নীল স্পঞ্জের স্যান্ꦺডেল পরে যা অবস্থা! ঘোরাঘুরি করে বন্ধুদের বাড়ি বাড়ি সেমাই খাই। আর একটু পর পর স্যা⛄ন্ডেলে ধুলা লেগেছে কি লাগেনি যেখানে সেখানে চট করে স্যান্ডেল সহ পা ভেজাই। বলি, এগুলো চামড়ার জুতার মত খারাপ না। যত ইচ্ছা পানিতে চুবাও কিচ্ছু হবে না।
স্যান্ডেলের আরো এ꧑কটি মজার ব্যাপার ছিল, পানিতে চুবানোর পর হাঁটতে ﷺগেলে একটা স্কুইজি শব্দ হচ্ছিল। যেন পায়ের নিচে চি চি করছে কোন ঈঁদুর।
সবাই দেখে আর ভাবে আমরা কি ভাগ্যবান। একজন বলে দেখিতো। আমি দিলাম। সে নাকে হাত দিয়ে বলে ওরে কী পঁচা গন্ধরে বাবা! আমি টান মেরে পায়ে পরে গর্ব ভরে বলেছিলাম, এটা জাপান থেকে এসেছেতো তাই এতে জাপানি মানুষের গন্ধ!