• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১, ২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


অনুগল্প

স্পঞ্জের স্যান্ডেল


শামীম আজাদ
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
স্পঞ্জের স্যান্ডেল

তখন আমাদের স্লিপারের ধারনাই ছিল না। এর আগে আমরা চার ভাইবোন বাসায় খড়ম পরতাম। মেয়েদের খড়মে লাল নীল ফুলের ছবি পেইন্ট করা থাকতো, ছেলেদেরটায় শুধু সাধারণ কালো বেল্ট। বিকে💯লে খেলা শেষে পা ধুয়ে খড়ম পরে খটর খটর শব্দ তুলে হ্যারিকেনের আলোয় কেবল এঘর ওঘর করতাম। ছেলেরাই ঈদের পোশাকসহ সব ঈদের বাজার করতো। আমরা ফেনীতে থাকতাম।

সে ঈদে আমার বয়স ছিল ছয় কি সাত। আব্বা রোজার মধ্যেই ফেনী থেকে অফিসের কাজে ঢাকা গেলেন। আমরা চার ভাইবোন খুশিতে অপেক্ষা করতে থাকলাম, এবার ঈদের বাজার ঢাকা থেকে হচ্ছে। আব্বার আনা কাপড়ে আর আম্মার ডিজাইনে তার𝓰 সিঙ্গার মেশিনের দ্বারা নিশ্চয় একটা অসাধারণ ফ্রক হবে!

আব্বা এসেছেন। সবাই তাকে ঘিরে বসেছি। ট্রাঙ্ক থেকে একটার পর একটা জিনিষ বেরুচ্ছে আর আমরা হা হয়ে যাচ্ছি। সবচেয়ে অবাক হলাম সদ্য চালু হওয়া স্পঞ্জের স্যান্ডেল দেখে। তার আবার আলাদা লাল নীল স্ট্র্যাপ। তেল লাগিয়ে বা সাবান লাগি💜য়ে সাদা কিরিকিরি ডিজাইনের সোলের ওপরটায় যে তিনটি ফুটো আছে তাতে গুঁজে দিলেই স্যান্ডেল হয়ে যাবে। কিন্তু এগুলোযে আসলে স্লিপার সে ধারনাই নেই।

আমরা ফুর্তিতে বাঁচি না, এবার ঈদে আমরা স্পঞ্জের স্যান্ডেল পরবো♓।

ঈদের দিন নতুন জামা আর দুই স্ট্র্যাপের নীল স্পঞ্জের স্যান্ডেল পরে যা অবস্থা! ঘোরাঘুরি করে ♔বন্ধুদের বাড়ি বাড়ি সেমাই খাই। আর একটু পর পর স্যান্ডেলে ধুলা লেগে🐽ছে কি লাগেনি যেখানে সেখানে চট করে স্যান্ডেল সহ পা ভেজাই। বলি, এগুলো চামড়ার জুতার মত খারাপ না। যত ইচ্ছা পানিতে চুবাও কিচ্ছু হবে না।

স্যান্ডেলের আরো একটি মজার ব্যাপার ছিল, পানিতে চুবানোর পর হাঁটতে গেলে একটা স্কুইজি শব্দ হচ্ছিল। যেন পা🅺য়ের নিচে চি চি করছে কোন ঈঁদুর।

সবাই দেখে আর ভাবে আমরা কি ভাগ্যবান। একজন বলে দেখিতো। আমি দিলাম। সে নাকে হাত দিয়ে বলে ওরে কী পঁচা গন্ধরে বাবা!  আমি টান মেরে পায়ে পরে গর্ব ভরে বলেছিলাম, এটা জাপান থেকে এসেছেতো তাই এতে জাপানি মানুষের গন্ধ!
 

Link copied!