শরৎকালে প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শুকনো খোলা মাঠে সারি সারি হয়ে দাড়িয়ে থাকে কাশবন। অন্যদিতে নদী-বিল-ঝিলের জলাধারে জেগে উঠে পদ্মফুল। ইতܫোমধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের নদী ও বিল-ঝিলগুলো পদ্মফুলে রঙিন হয়ে উঠেছে। সৌন্দর্যপিপাসুরা ছুটে যাচ্ছে সেই সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে। শাড়ি পড়ে মাথায় ফুল জড়িয়ে পদ্মফুলের জলাধারের মাঝে নৌকায় ভেসে যাচ্ছে রমনীরা। এমন দৃশ্যের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
পর্যটকদের কাছে এখন মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে পদ্মফুল ফোটা জলাধারগুলো। রঙিন পদ্মের বিলে নৌকা নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন আর ছবি 🎐তুলছেন। বর্ষার মৌসুম থেকেই পদ্মফুল ফোটা শুরু হয়। যা শরতে এসে পুরো জলাধার দখলে নেয়।
সামনে দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা দিচ্ছে। এই সময় পদ্মফুল যেন দুর্গাপূজার অন্যতম অংশ। কারণ অষ্টমীতে দেবীকে খুশি📖 করতে ১০৮ পদ্মফুল চরণে দিতে হয়। তাই পদ্মফুল দুর্গাপূজার অন্যতম অংশ বলা হয়। পূজার প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গপ্রাণ🅰িত এই পদ্মফুল তাই জায়গা পেয়েছে শারদ সংগ্রহ ২০২৪-এর পোশাকে। পূজায় শাড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই পূজার সংগ্রহের শাড়িতে এবার স্থান পেয়েছে পদ্মফুল।
দেশিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো পোশাকে পদ্ম মোটিফকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। রঙিন পদ্মফুলের সৌন্দর্য যেন শাড়িকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে। পদ্মফুলের প্রেরণায় তৈরি শাড়িগুলো এখন ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। শারদ উদযাপন হোক কিংবা পদ্মবিলে গিয়ে ছবি তোলা হোক, পদ্ম মোটিফের শাড়িই পরতে হবে রমনীদের। তাই হালের ফ্যাশনে বেশ সা♈ড়া জাগিয়েছে পদ্মফুলে শাড়ি।
পদ্ম মোটিফের শাড়িগুলোতে গোলাপি ও বেগুনি রঙে সাজানো হয়েছে। শাড়ির জমিন এমব্রয়ডারি, কারচুপি কিংবা ডিজিটাল প্রিন্ট করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পদ্মফুল। শাড়ির একাংশে ছোট করে পদ্মের নকশা করা রয়েছে। মাঝ থেকে আচঁল পর্যন্ত সবুজ পাতাসহ পদ্মের নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আঁচলের দুইস্তরের ট্যাসেলগুলো যেন শাড়ꦆির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। কোনো কোনো শাড়িতে পদ্ম মোটিফের এমব্রয়ডারি নকশার ওপরে করা হয়েছে কারচুপির কাজ। যা আরও জামজমক হয়ে ফুটে উঠেছে। এসব শাড়ি যেকোনো উৎসব, অনুষ্ঠানের জন্যই মানানসই হবে।