চুল পরিষ্কার রাখত♓ে শ্যাম্পুর ব্যবহার হয়। শ্যাম্পু মানেই বোতলে ভরা ব্র্যান্ডের নানা প্রডাক্ট। সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই এসব বোতলের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া হয়। কিন্তু জানেন কি, এসব ব্র্যান্ডের শ্যাম্পুর থেকেও অনেক বেশি উপকারী প্রাকৃতিক শ্যাম্পু। অর্থাত্ ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই চুল পরিষ্কারের উপায় বের করা। এই কাজে বিশেষভাবে সাহায্য করবে চাল ধোয়ার পানি। হ্যা, চুলের যত্নে চাল ধোয়া পানি অনেক উপকারী।
চুল ধোয়ায় পানির ব্যবহার তেমন ছিল না। তবে কোরিয়ান প্রসাধনী জনপ্রিয় হওয়ার পরই চাল ধোয়া পানির কদর বেড়েছে। ত্বকের মতো চুলেও চাল ধ🎃োয়া পানি ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু করার পর চাল ধোয়া পানি ব্যবহার কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। চুল হয়ে ওঠে রেশমের মতো সিল্কি হয়। সেই চাল ধোয়ার পানি দিয়েই প্রাকৃতিক উপায়ে শ্যাম্পু বানানো যায়। যা চুলের স্বাস্থ্যকে আরও উন্নত করে।সঙ্গে কেবলমাত্র একটি উপকরণ যোগ করলেই হবে। চলুন জেনে আসি, চাল ধোয়া পানি দিয়ে শ্যাম্পুর উপায় কী_
১ কাপ চাল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। দুই বার ধুলেই হবে। বেশি ধুলে চালের মধ্যে থাকা খনিজ বেরিয়ে যাবে। এবার চালের পানিতে ৫টি রিঠা ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে সেই পানিটি হালকা গরম করে নিন। এবার এটি ভালোভাবে চটকে নিলেই তরল শ্যাম্পুর মতো ফেনা হবে। যা 🌱চুল ধোয়ার জন্য উপযোগী।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
প্রথমে স্বাভাবিক পানিতে চুল ভিজিয়ে নিন। চাল ধোয়া পানি আর রিꦇঠা দিয়ে তৈরি ওই মিশ্রণ মাথায় মাখুন। হেয়ার ব্রাশ দিয়ে মাথায় হালকা মাসাজ করুন। খুশকি বা মৃত কোষ দূর হয়ে যাবে। তিন থেকে পাঁচ মিনিট রাখুন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
এই শ্যাম্পু ব্যবহারে কী কী হয়_
বিশেষজ্ঞরা জানান, চাল ধোয়া পানিতে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। যা চুলের ঘনত্ব বাড়ায়। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। চুলের ডগা ফাটার সমস্যা দূর করে। মাথার ত্বক শুষ্ক হলে এই শ্যাম্পু ব্যবহারে উপকার পাবেন। এটি মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজ﷽ায় রাখে। ফাঙ্গাস বা ছত্রাকঘটিত সংক্রমণও দূর করে। এছাড়াও এই শ্যাম্পুতে ভিটামিন🙈 ই রয়েছে। যা চুলের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে।