অন্য যেকোনো সময় চেয়ে ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচন ছিল সবচেয়♕ে আলোচিত-সমালোচিত। এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে ছিলেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরমধ্যে কমলা হ্যারিস দেশটির রানিং ভাইস প্রেসিডেন্ট, অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বড় ব্যবসায়ী। নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের ইশতেহার ঘোষণার পর নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনাও ঘটেছে। এরমধ্যে অন্যতম ছিল ট্রাম্পের জনসভায় গুলির ঘটনা। যেখানে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রাণহানিও ঘটতে পারত।
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের নানা দেশের রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন। যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য নিয়েই আজকের এই 💝প্রতিবেদন।
ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত ও ২ বার হত্যাচেষ্টার শিকার হওয়াসহ নানা চাপ নিয়ে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে, বিভিন্ন জরিপে শীর্ষে থেকেও হেরে যান কমলা হ্যারিস। তাদের এই জয়-পরাজয়ের🐻 পেছনের প্রকৃত কারণ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। প্রশ্ন ওঠে, ট্রাম্পের বিজয়ের পেছনে মুখ্য ভূমিকা কী ছিল? বিশ্লেষকরা কয়েকটি বিষয়কে তাদের জয়-পরাজয়ের মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এর🎐 মধ্যে রয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনে যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, অভিবাসন, ডেমোক্রেটবিমুখ আরব-মার্কি🔯নি ভোটার ও নারী-পুরুষ বৈষম্যের মতো বিষয়।
বিবিসির বিশ্ল൲েষণে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে মার্কিন অর্থনৈতিক অবস্থাকে। দেশটিতে বেকারত্ব বেড়েছে।
অধিকাংশ মার্কিনিদের মতে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অর্থনীতিই ছিল ভোটারদের মূল উদ্বেগের ক🌱ারণ। মহামারি-উত্তর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭০-এর দশকের পর সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি সমস্যা দেখা দেয়।
ফরে🎐ন পলিসির কলামিস্ট মাইকেল হির্স টক বলেন, “জো বাইডেনের ব্যয়বহুল কর্মসূচির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল, যা কমলার পথকে কঠিন করে তুলেছে। ট্রাম্প আশ্বাস দেন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ওপর তিনি পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়াবেন।”
সিএনএনের এক জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকের বেশি মার্কিন꧟ ভোটার অর্থনৈতিক ইস্যুতে কমলার চেয়ে ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন।
🦄রিপাবলিকানরা গর্ভপাত ও অভিবাসন ইস্যুতে সুবিধা পেয়েছে। ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ে কঠোর ꦆহওয়ার বার্তা দিয়েছেন; পাশাপাশি সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের বিষয়েও তিনি সোচ্চার ছিলেন। এটা বিপুলসংখ্যক শ্বেতাঙ্গ মার্কিনিকে আকৃষ্ট করেছে।
পিউ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, জো বাইডেনের সময়ে সীমান্ত দিয়ে অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ছিল অনেক বেশি। তবে গরꦦ্ভপাত নিয়ে কমলার আশ্বাসে নারীদের বেশি সমর্থন থাকলেও শেষ পর্যন♕্ত তা যথেষ্ট ছিল না।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির হোভার ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো ব্রিটিশ-মার্কিন ঐতিহাসিক নিয়াল ফার্গুসন বলেন, “গত চার বছর ধরে চলা বাইডেন প্রশাসনের নীতিগুলোকে প্রত্যাখ্যান করতে মার্কিনিরা ভোট দ💜িয়েছেন। ট্রাম্প বৈধতার নথিপত্র ছাড়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের দেশছাড়া করার ঘোষণাও দেন, যা মা🥀র্কিন অভিবাসনবিরোধীরা ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন।”
ঐতিহাসিকভাবে ল্যাটিনো, কৃষ্ণাঙ্গ ও আরব-মার্কিন ভোটাররা ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থক। তবে এবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। এ কারণে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে হারের মুখ দেখেছে তারা। দোদুল্যমান রাজ্য পেনসিলভানিয়াꦏয় জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। এর আগে রাজ্যটিতে ১৯৮৮ সালের পর শুধু🎶 ২০১৬ সালে হারের মুখ দেখে ডেমোক্রেটরা।
নির্বাচন পরবর্তীতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম꧟ আল-জাজিরা জানায়,ℱ এবারের নির্বাচনে আরব-মার্কিনি ও মুসলিমরা ডেমোক্রেটদের ভোট দেননি। জো বাইডেন প্রশাসনের ক্ষমতায় থাকাকালে গাজায় ইসরায়েল ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চলায়, যা এখনও অব্যাহত আছে। এ নিয়ে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলন চলাকালেও অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রকাশ্যে আরব-মার্কিনিরা ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।
আরব-মার্কিনিরা ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্🀅রের ꦛনিঃশর্ত সমর্থনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়ে এলেও বাইডেন-কমলা প্রশাসন তা আমলে নেয়নি।
এবারের মার্কিন নির্বাচনের সবচেয়ে বড় ঘোষণা ছিল মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনে ไচলমান দুটি বড় যুদ্ধের ইতি ঘটানো। তা মার্কিন ভোটাররা বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন।
ট্রাম্পের নেতৃত্বে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আলোচনার ভিত্তিতে ইউক্রেন সংকটে🌳র সমাধান হবে, এ ধরনের একটি ধারণার প্রচলন আছে। কার্যত ট্রাম্প চান বিদেশে যেকোনো সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে দূরে রাখতে। গাজা ইস্যুতে ট্রাম্প ইসরায়েলের একনিষ্ঠ সমর্থক। তবে তিনি মনে করেন, এই অভিযানের সমাপ্তি ঘটানো উচিত। লেবাননেও ইসরায়েলের হামলা বন্ধ চান ট্রাম্প।
ট্রাম্পের জয়ের পেছনে অন্যতম একটি কারণ জানাꩲয় জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্𓂃যম ডয়চে ভেলে। তা হলো ‘মূল্যস্ফীতি’।
ডয়চে ভেলের তথ্যমতে, ডোনাল্ট ট্রাম্পের জয়ের পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যের (২ শতাংশ) কাছাকাছি রয়েছে। তারপꦐরও অর্থনীতি নিয়ে অনেক মার্কিনি আশাবাদী নন বলে জরিপে দেখা গেছে।
মার্কিন নির্বাচনের পর ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এক্সিট পোল প্রকাশ করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান এডিসন রিসার্চ। এতে ৪৫ শতাংশ ভোটার জানান, তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা চার বছর আগের তুলনায় এখন খারাপ অবস্থায় 🌠আছে। ২০২০ সালে এই হারটি ছিল ২০ শতাংশ। ওই ৪৫ শতাংশ ভোটারের মধ্যে ৮০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন ট্রাম্পকে, কমলা হ্যারিস পেয়েছেন মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট।
এডিসন রিসার্চের এক্সিট পোল বলছে, ৩৫ শতাংশ ভোটাꦿর ভোট দেওয়ার সময় গণতন্ত্রের অবস্থা বিবেচনা করেছেন। আর ꧙৩১ শতাংশ ভোটার ভেবেছেন অর্থনীতির কথা। অর্থনীতি নিয়ে ভাবা ভোটারদের ৭৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প। আর কমলা হ্যারিস পেয়েছেন মাত্র ২০ শতাংশ।
এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া ৭ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা জানান ট্রাম্প। নির্বাচনের পরদিন গত ৬ নভেম্বর ট্রাম্প বলেন, “আমি একটি সাধারণ লক্ষ্য নিয়ে দেশ পরিচালনা করব। যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছ🌌ি, সেগুলো পূর্ণ করব।”
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো হলো
অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়া : অবৈধ অভিবাসী নিয়ে ট্রাম্প একাধিকবার ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত ক🔯রবেন তিনি। তার কথায়, ‘মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শেষ করব’। যা তার প্রথম মেয়াদে শুরু হয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিশাল উদ্যোগ বাস্তবায়নে আইনগত এবং লজিস্টিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। তাছাড়া এটি দেশের অর্থনীতি♏র গতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
অর্থনীতিতে মনোযোগ : প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকে ট্রাম্প দেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ভোটারদের কাছে মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে চান। এ ♏ছাড়া ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ‘বিদেশি পণ্যের ওপর অন্তত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে’ এবং ‘চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক ৬০ শতাংশ বাড়াত♎ে’। তবে এতে মার্কিন ভোক্তাদের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
জলবায়ু নীতিতে কাটছাঁট : ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পরিবেশ সুরক্ষা নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেন এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রক🍰ে প্রত্যাহার করেন। এবারও নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি পরিবেশ ন🌌ীতিতে কাটছাঁট করার ঘোষণা দিয়েছেন আগে থেকেই, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পকে সহায়তা করার জন্য। এ ছাড়া ইলেকট্রিক গাড়ির বিরোধী হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলেছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ : রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে শত শত কোটি ডলার সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব✱রাবরই কড়া সমালোচনা করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি তার প্রতিশ্রুতিতে বলেছেন, যদি তিনি আবার ক্ষমতায় আসেন, তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবেন।
তবে ট্রাম্প ফিলিস্তিনের গাজা যুদ্ধের প্রসঙ্গে নিজেকে ইসরায়েলের দৃঢ় সমর্থক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়💃াহু সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যেন তারা দ্রুত এই যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ নেয়। একইসঙ্গে লেবাননে যুদ্ধ থামানোর পক্ষে তার অবস্থান স্পষ্ট। প্রচারণায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতিতে বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল আর্থিক সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে এবং সমঝোতার পক্ষে অবস্থান নেবেন।
গর্ভপাতের অধিকার রদ : গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে ট্রাম্পের সমর্থকরা তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। ২০২২ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার খারিজ করেছিল। এ বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় এলে গর্ভপাতের অধিকার 🃏রদসংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করবেন না, তবে তার শাসনামলে কড়া গর্ভপাত নীতি বজায় 𒐪থাকবে।
দাঙ্গাকারীদের ক্ষমা : যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করার লক্ষ্যে ২০২১ সালে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়েছিলেন ট্রাম্পের সমর্থকরা। এতে বেশ কিছু প্রাণহানি꧋ও ঘটে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগে আটক হওয়া তার সমর্থকদের ক্ষমা করবেন’ এবং তাদ♉ের অকারণে বন্দী করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন’।
বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথকে চাকরিচ্যুত : ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলার তদন্ত করছেন বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ। গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপ💯িটল হামলা এবং সরকারি গোপন 𓄧নথি সরানোর অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ট্রাম্প একসময় বলেছিলেন, ‘হোয়াইট হাউসে বসার সঙ্গে সঙ্গে আমি জ্যাক স্মিথকে চাকরিচ্যুত করব।’