অবশেষে চড়-পিস্তলকাণ্ডে মুখ খুললেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তিনি বলেন, “চিꦡত্রনায়ক জায়েদ খান আমাকে কোনো অসম্মান করেনি। গণমাধ্যমে ও🔯মর সানী মিথ্যাচার করছে।”
সোমবার (১৩ জুন) দুপ꧂ুরে এক অডিও বার্তায় জায়েদ খান ও ওমর সানী প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন ঢালিউডের এই জনপ্রিဣয় অভিনেত্রী।
২ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের সেই অডিও বার্তায় মৌসুমী বলেন, “আমি মনে করি, আমার প্রসঙ্গ টানার কোনো প্রয়োজনীয়তাই ছিল না। আমি জায়েদকে অনেক স্নেহ করি। সে আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে। আমাদের মধ্যে যতটুকু কাজের সম্পর্ক, সেটা অনেক ভালো সম্পর্ক। সেখানে আমাকে অসম্মান করার প্রশ্নই ওঠে না এবং ওর মধ্যে আমি গুণ ছাড়া অপ্রীতিকর কিছুই দেখি না, কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে, সেটা আমি দেখিনি। ও ভালো ছ𒉰েলে। সে আমাকে কখনোই অসম্মান করেনি।”
অডিও বার্তায় মৌসুমী আরো বলেন, “এটা একান্তই আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। সেই সমস্যা আমাদ𓆏ের পারিবারিকভাবেই সলভ হওয়া উচিত ছিল। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি, জায়েদের এখানে খুব একটা দোষ নেই, আমি দোষ খুঁজে পাচ্ছি না। আরেকটি কথা বলতে চাই, আমাকে এই ছোট করার মধ্যে যাকে আমরা শ্রদ্ধা করে এসেছি আমাদের ওমর সানী ভাই, তিনি এখন কেন এত আনন্দ পাচ্ছেন, সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমার কোনো সমস্যা থাকল🙈ে আমার সঙ্গে সলভ করবে। সেটিই আমি আশা করি।”
ওমর সানীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত কর মৌসুমী বলেন, “জায়েদকে আমি স্নেহ করি, সে আমাকে সম্মান করে। সে আমাকে কটূক্ত𝔍ি বিরক্তি কিছুই করেনি।”
এর আগে মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণের জের ধরে জায়েদ খানকে চড় মারেন ওমর সানী। চড়ের প্রতিক্রিয়ায় ওমর সানীকে জায়𓃲েদ খান পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জায়েদ খানের নামে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ওমর সানী। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, “চার মাস ধরে তাদের সুখের সংসার ভাঙার চেষ্টা করছেন জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে অভিনেত্রী মৌসুমীকে নানাভাবে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছ🌟েন জায়েদ।”
তবে শুরু থেকেই ওমর সানꦯীর এ অভিযোগকে নাকোচ করে আসছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, “পুরো ঘটনাটাই মিথ্যা ও বানোয়াট। এই ব্যাপারে মৌসুমী আপার সঙ্গে কথা বললেই সব জানতে পারবেন।”
জায়েদ আরও বলে🥂ন, “আমি কখনোই তাকে (মৌসুমী) হেয়প্রতিপন্ন করিনি। এটা একদম ভুয়া কথা। আমাদের নির্বাচনই তো চার মাস হয়নি। এখন সানী ভাই একটার পর একটা মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছেন। আপনারা মৌসুমী আপার সঙ্গে কথা বলেন। আমি মিথ্যা বলছি কি না, জানুন। তা ছাড়া আমরা ১৫–২০ দিন আগেও একসঙ্গে ডিপজল ভাইসহ অন্যরা মিলে মিটিং করেছি। সেখানে মৌসুমী আপা এসেছেন। আমাদের কথাও হয়েছে। সম্পর্ক খারাপ হলে মিটিংয়ে আমাদের থাকার কথা নয়। এ ছাড়া সিনেমার শুটিংসহ বিভিন্ন কিছু নিয়ে আমাদের মাঝেমধ্যেই কথা হয়।”
ওমর সানীর অভিযোগের বিষয়ে পাল্টা অভিযোগ করে জায়েদ খান জানান, এমন😼 ঘটনায় তার নিজের মানহানি হচ্ছে। ওমর সানী মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে শিল্পী হিসেবে অসম্মান করছেন।
ওমর সানীকে উদ্দেশ করে জায়েদ আরও বলেন, “একজন শিল্পী আরেকজন শিল্পীকে এভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করতে পারেন না। প্রথমত, পিস্তল আমার সঙ্গে ছিল না। আর ঘরসংসার ভাঙার ইঙ্গিত 𓃲খুবই খারাপ। এতে মৌসুমী আপাকেও ছোট করা হচ্ছে। গতকাল থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই নাটক চলছে। তিনি (ওমর সানী) যখন দেখেছেন আমি এগুলোর সঙ্গে নেই, তখন ভিন্ন দিকে বিষ🗹য়টাকে নিয়ে যাওয়া ঠিক হচ্ছে না।”
গত শুক্রবার (১০ জুন) অভিনেতা ডিপজলের ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্🃏ঠানে ওমর সানী ও জায়েদ খানকে ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। স্ত্রী চিত্🦋রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণের জেরে স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী চড় মেরে বসেন জায়েদ খানকে। চড়ের পর ওমর সানীকে পিস্তল বের করে হত্যার হুমকি দেন জায়েদ খান, রোববার (১২ জুন) এমন অভিযোগ আনেন ওমর সানী নিজেই। তিনি এই ঘটনার জেরে শিল্পী সমিতির কাছে বিচারও চেয়েছেন।