শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ৯ আগস্ট꧙ প🏅দত্যাগ করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ। এরপর থেকে জল্পনা, কে হচ্ছেন বেরোবির উপাচার্য।
কেমন উপাচার্য চান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা? সেই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মতাম𒅌তে উঠে এসেছে নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা।
এ বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান সাকীব বলেন, “রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম দুর্নীতি সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাই অবগত। প্রশাসনিক পদে গেলেই এখানকার শিক্ষকরা এসব অনিয়ম দুর্নীতির সাথে যুক্ত 🍸হন। এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের মধ্যে কাউকে উপাচার্য নিয়োগ দিলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠান অন্ধকার হয়ে যাবে। তাই আমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক নয় বরং জাতীয়ভাবে স্বচ্ছ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন একাডেমিশিয়ানকে উপাচার্য হিসেবে চাই।”
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুন নাহার বলেন, “ভিসি হিসেবে সর্বপ্রথম শিক্ষার্🌜থীবান্ধব, সৎ একজন মানুষকে চাই। যার নীতিতে ‘দুর্নীতি’ থাকবে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর উন্নয়নে যাকে তেলমর্দন করতে হবে না। একজন দায়িত্ববান মানুষ চাই, যিনি শিক্ষার্থীদের সমস্যা বুঝবেন এবং সেটা সমাধান করবেন। ক্ষমতার প্রতি লোভ না রেখে প্রকৃত অর্থে একজন শিরদাঁড়া সম্পন্ন মানুষকে চাই, যার ন্যায়-নীতি, দায়িত্বপরায়ণতা আমাদের মুগ্ধ করবে। আর এটাও বলতে চাই, বেরোবির কোনো শিক্ষক ভিসি হওয়ার জন্য যথেষ্ট না। এমনি শিক্ষার্থীবান্ধব করার মতো তারা ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে না।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাঈদুর জামান বাপ্পি বলেন, “একজন সৎ ও কর্মচঞ্চল উপাচার্য চাই। যিনি শিক্🌟ষক রাজনীতি এবং ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করবেন। দখলদারিত্ব মুক্ত হল, ছাত্রদের অধিকার নিশ্চিতকরণ, পরমতসহিষ্ণুতಞা, গবেষণা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব এবং শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করে মেধার ভিত্তিতে গবেষক শিক্ষক নিয়োগ দেবেন।”
ইশরাত জাহান তন্নি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের যথাযথ আবাসিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা দিতে কাজ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড বাড়াতে কাজ করতে পারবেন এবং প্রত্যেক বিভাগে শিক্ষক, শিক্ষার্থীর যেন অনিয়ম না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন। যেকোন💜ো অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি হবে আপোষহীন। অতীতে যেসব ঘটনা ঘটেছে আমরা তার পুনরাবৃত্তি চাই না। তাই শিক্ষার্থীদের যꦫথাযথ নিরাপত্তা দিতে পারবে আমরা এমন কাউকে চাই।”
ভূগোল ও পরিবেশে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান হক বলেন, “আমাদের ছোট্ট ক্যাম্পাসে সমস্যার শেষ নেই। আমরা এ রকম অভিভাবক চাই, যার হাত ধরে অনেক দূর এগিয়ে যাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকর🎃ণ, প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতা বাড়ানো, অভ্যন্তরীꦿণ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ এবং নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে যত অভিযোগ সব দূর করে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে যেন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।”
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মিম খাতুন বলেন, “শিক্ষার্থী🐻দের জন্য বাস্তবমুখী চিন্তা করবে এবং শিক্ষকদের আদর্শ হিসেবে থাকবে এমন একজন উপাচার্য𒅌 এখন সময়ের দাবি। কথায় নয়, কাজ বাস্তবায়নের প্রতি জোর দিয়ে অন্যায় এবং দুর্নীতির সাথে আপোষহীনভাবে এগিয়ে যাবে এমন একজন প্রগতিশীল, শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য চাই।”