বড় বড় ঘাস, যত্রতত্র ছোট ছোট গর্ত ও চারপাশে ঝোপঝাড়ে আচ্ছাদিত হয়ে খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অবꦇহেলা ও অব্যবস্থাপনায় মাসের পর মাস ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের সর্বত্র উঁচু-নিচু হয়ে আছে, রয়েছে ছোট ছোট গর্ত। পানি জমে গেলে নেই কোনো নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, মাঠের মধ্যে ঘাসগুলো বড় আকার ধারণ করেছে। চারপাশ ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে। দেখলে মনে হবে এই যেন ছোটখাটো এক বন। মাঠের মধ্যে নেই খেলোয়াড়দের বিশ্রামের জায়গা, নেই নিরাপদ খাবার পানির সুবিধা। খেলার মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সার্বক্ষণিক কোনো মাঠকর্মꦍীও নেই। উল্টো খেলার মাঠের বিরাট এক অংশে করা হয়েছে চাষাবাদ।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন অব্যবস্থাপনায় ফেলে রাখায় খেলাধুলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে এ মাঠটি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী খেলতে গিয়ে আহ🌱ত হয়েছ♋েন এ মাঠে।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড় ইয়াসিনꦺ আল রিয়াদ বলেন, “নোবিপ্রবিতে একটি মাত্র খেলার মাঠ। বিকেল হলেই আমরা মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট খেলতাম এই মাঠে অনুশীলন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করতে যাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ไকিন্তু মাঠের এই বেহাল দশার কারণে আমরা প্রায়ই ইনজুরিতে পড়ি।”
লোকমান হোসেন ইমন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের অবস্থা একেবারে শ🌳োচনীয়। খেলার মাঠটি একদম সমান নয়। বৃষ্টি এলে পানি জমে যায়। এ ছাড়া খেলার মাঠের চারদিক দিয়ে যে বাউন্ডারি আছে সেটি সঠিকভাবে দেওয়া নেই। পরিচ্ছন্নতার অভাবে বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে জঙ্গলে ভরে গেছে মাঠের একাংশ।”
এ বিষয়ে শরীরচর্চা বিভাগের উপপরিচালক সঞ্জীব কুমার দের সঙ্গে ফোন এ যোগায🐎োগ করা হলে, তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মো. রুবেল মিয়া বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে মাঠ সংস্কারের জন্য কাজ শুরু করেছি। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠ সংস্কারের কাজ শেষ 🔯হবে।”