হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড়ে ২৪৩ হেকﷺ্টর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ উদ্যান দেখতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুট꧂ে আসে মানুষ।
চারিদিক বিস্তৃত পাহাড়, সবুজ শ্যামল বনভূমি, বন্য প্রাণী আর চা বাগানে ঘেরা এ জাতীয় উদ্যাꩲনটি মানুষের কাছে একটা আকর্ষণীয় জায়গা। তাই সবুজাবৃত সাতছড়ির সৌন্দর্য অবলোকনে যায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 𒊎বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ (পিএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর নবীন শিক্ষার্থীদের আগমন উপলক্ষে বিভাগীয় ট্যুরের আয়োজন করে থাকে পিএসএস সোসাইটি। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। নানা আনন্দ-উল্লাসে সম্পন্ন হয় এবারের ট্যুর। যাকꦐে বলা হয় ‘নবীন প্রাণে ভালোবাসার ছোঁয়া’।
দিনটি ছিল ১ এপ্রিল। এদিন সকাল ৭টা থেকে বিভাগের সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে জড়ো হওয়া শুরু করে। কেননা ৮টায় ক্যাম্পাস থেকে বাস ছাড়বে সাতছড়ির উদ্দেশ্যে। শিডিউল অনুযায়ী সবাই এক-এক করে চলে আসে নির্ধারিত জায়গায়। সবার মনে প্রাণচাঞ্চল্য ভাব। একদিকে নবীন শিক্ষার্থীদের প্রথম ট্যুর। অন্যদিকে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের শেষ ট্যুর। সবার আগমনে রীতিমতো ক্যাম্পাসে আনন্দোল্লাস বইছিল। এ সময় সবাই একে অন্যের সঙ্গে ছবি তুলে মুহূর্তগুলো স্মৃতিতে আবদ্ধ করে রাখে। তারপর আসে বাস ছাড়ার পালা। সবাই বাসে উঠে নিজ নিজ আসন দখল করে। বাসে উঠার পর সবা꧋ইকে সকালের নাস্তা দেওয়া হয়। বাস চলাকালীন সময়ে গান, গল্প আর হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠে সবাই।
এছাড়া বাস স্টপেজের পাশে একটি বিশাল মাঠে পিএসএস সোসাইটির উদ্যোগে খেলাধূলার আয়োজন করা হয়। খেলাধূলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস🍷্কার তুলে দেন অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন। এ সময় পিএসএ⛎স বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা জুনিয়রদের উদ্দেশ্য সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন তিনি।
সꦿবশেষে ট্যুরে অংশগ্রহণ করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান পিএসএস সোসাইটির ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক।
ট্যুরের অনুভূতি প্রকাশ করে পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বলেন, “ট্যুর আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। সেটি যদি হয় বিভাগীয় ট্যু’র তাহলে তো আর কথ🧜াই নেই। একসঙ্গে শিক্ষক, সিনিয়র ও জুনিয়রদের নিয়ে ট্যুরের মজা উপভোগ করাটাই অন্যরকম। এটাই মনে হয় আমাদের শেষ ট্যুর, তাই ট্যুরের মজাটা মিস করতে চাই নি। সবার সঙ্গে ট্যুরে যেতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।”
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহানা রশীদ ঈরিন বলেন, “অসম্ভব ভালো লাগার একটি দিন ছিল। বিভাগের পক্ষ থেকে এমন আয়োজনে সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে সুন্দর একটি দিন উপভোগ করতে পেরেছি। আমাদ♊ের বন্ধন অটুট থাকুক।”
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান বলেন, “সাতছড়ির প্রাকৃতꦡিক সৌন্দর্যে ঘেরা চোখ জুড়ানো দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লেগেছিল। চারিদিকে সবুজ সারি-সারি গাছ, বন্য প্রাণীর কিচিরমিচির শব্দ আর চা বাগান দিয়ে আবৃত উদ্যানটি খুবই মনোমুগ্ধকর”
সাতছড়ি নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী সোহানা আবেদীন লামিসা বলেন, “সাতছড়ির গাছপালা আচ্ছাদিত সবুজে ঢাকা পরিবেশ খুবই সুন্দর। রাস্তার দু'পাশে চা-বাগান দেখে মনে হচ্ছিলো সবুজের ঢেউখেলানো। উদ্যানের ভেতরের ওয়াচ টাওয়ার থেকে আশেপাশের পুরো সৌন্দর্যটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছি। সিনিয়র-জুনিয়র ভাই আপু ও বন্ধুবান্ধবদের একসঙ্গে ট্যুরে যেতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে।”