• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১, ৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৪, ০৫:৪২ পিএম
কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে 𓆏ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার  (৯ জুলাই) সোয়া ৪টায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যাল⭕য়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধা🍸ন ফটকে (ডেইরি গেট) এসে শেষ হয়।

এসময় ‘সারাবাংলায় খবর🏅 দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটা প্রথার ঠাঁই নাই’,  ‘আর না আর না, মেধাবীদের কান্না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা এসময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেরﷺ উভয় লেন বন্ধ করে দেন। ফলে আরিচাগামী অংশের হেমায়েতপ𒈔ুর অবধি এবং ঢাকাগামী অংশের পল্লীবিদ্যুৎ পর্যন্ত এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

এ সময়  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিয়া সোহাগী বলেন, “আমাদের এই আন্দোলন কোটা বিরোধী আন্দোলন নয়, এটি কোটা সংস্কার আন্দোলন। বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে  স্বাধীনতার এত বছর পরেও কেন এই বৈষম্য ছাত্র সমাজে বিরাজ করবে। আমরা কোটা বাতিলকে নয়, সংস্কার করে অনগ্রসরদের দেশের উন্নয়নে সুযোগ দেওয়া। ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রবর্তন করেছিল অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য, অর্থাৎ কিছুদিন পর এ𝄹ই ꦚকোটা বাতিল করার কথা ছিল। কিন্তু ১৯৭২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটাকে কি স্বল্পকালীন সময়ের জন্য বলবেন? সুতরাং এই বৈষম্যমূলক মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিলুপ্ত ঘোষণা করে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চাই।"

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফ সোহেল বলেন, “আমরা গতকালকে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করার আগে পর্যন্ত সরকার বা নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে আমরা কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি। কালকে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করার পরে আ্যটর্নি জেনারেল সাহেব, ওবায়দুল কাদের সাহেবসহ সরকারের নীতিনির্ধারকদের অনেকের কাছ থেকেই পজিটিভ ইন্টেন্ট পেয়েছি, তারা বলেছেন তারা পরিপত্র নিয়ে আন্তরিক, তারা আদালতে ছাত্রদের প্রতিনিধিও চেয়েছেন। এ ধরনের পজিটিভ ইন্টেন্ট শো করার জন্যই আমরা আজকে বেশি সময় অবরোধ করছি না। আমরা আগামীকালকে থেকে আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে পারি, পরবর্তী আপডেট আমরা সন্ধ্যায় জানিয়ে দেব। আগামীকালকে আদালতের শুনানি আছে, সেখানে ১৮ সালের পরিপত্র বহাল করা হলে আমরা এটা তাদের একটি স্বদিচ্ছা হিসেবে মনে করব এবং আমরা এ বি✃ষয়ে সরকার বা নীতিনির্ধারকদের সহযোগিতা করার জন্য আরও আন্তরিক হব।”

ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ব্যাচ ও বিভাগ ক্লꩵাস পরীক্ষা বর্জন করেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো ক্লাস পরীক্ষা দিবেন না। এ ছাড়া আগামীকাল আপিল বিভাগে শুনানি হবে, শুনানির পরে আন্দোলনের পরবর্তীত অবস্থা জানানো হবে বলে জানা 🅘যায়।

Link copied!