কಌক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় মোহাম্মদ আরিফ নামের এক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৪ 💦অক্টোবর) দুপুরে তাকে দ্রুত সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেতে চট্টগ্রাম নগরীর এক রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
দুই বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন অপহৃত কলেজ⛦ শিক্ষকের স্ত্রী মেহবুব🥃া আনোয়ার লাইজু।
লিখিত বক্তব্যে মেহবুবা আনোয়ার লাইজু বলেন, “২৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার দিকে পারিবারিক প্রয়োজনে আমার স্বামী বাড়ি থেকে বের হন। এরপর অনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি না ফেরায় আমি তাকে ফোন করি। কিন্তু রিং হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে আমি পেকুয়া থানায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজ ডায়েরি করি। ওইদিন এশার নামাজের পর ন﷽াছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার স্বামীর জমি-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে সালিশের কথা ছিল। ওই রাতেই সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাত এক জায়গা আমার স্বামীর নম্বর থেকে শাশুড়িকে ফোন করে তাকে অপহরণের কথা জানানো হয়। রাত ২টার দিকে ফোন করে চট্টগ্রাম নগরীর ফ্রি-পোর্ট এসে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন অপহরণকারীরা।”
পরদিন ফ্রি-পোর্ট এলাকায় গিয়ে স্বামীকে পাননি বলে জানান মেহবুবা আনোয়ার লাইজু। তিনি বলেন, “২৯ সেপ্টেম্বর সকালে চট্টগ্রাম ফ্রি-পোর্ট এলাকায় যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমার স্বামীর নম্বরে কল দিলে সেটি বন্ধ পাই। হতাশ হয়ে ফেরার পথে দুপুর আড়াইটায় আমার স্বামীর নম্বর থেকে ফোন করেন অপহরণকারীরা। তখন মুক্তির জন্য ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর নতুন ব্রিজ পুলিশ বক্সের সামনে আমাকে যেতে বলেন অহরণকারীরা। পাশাপাশি তারা হুমকি দিয়ে বলেন “কোনো চালাকি অথবা পুলিশ, র্যাব কিংবা আ♑র্মির দ্বারস্থ হলে তোর স্বামীর লাশ পাবি।’ কিন্তু এরপর আবারও মোবাইল বন্ধ করে দেন অপহরণকারীরা। তবে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত উল্লেখিত মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আমার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ রাখে অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্বামীকে ফিরে পাইনি।
মেহবুবা আনোয়ার লাইজু কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার স্বামী কেমন আছে, কি অবস্থায় আছে জানি না। প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজ পাইনি। অপহরণকারীদের কাছে মুক্তিপণ দেব জানিয়েও স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তিন সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আমার স্বামীকে উদ্ধারে সব🔯ার সহযোগিতা চাচ্ছি।”
এদিকে মোহ𒁃াম্মদ আরিফকে অপহরণের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা করেছেন তার ছোট ভাই মোহাম্মদ রিয়াদুল ইসলাম।