দূর থেকে দেখলে যেকোনো মানুষেরই মনে হবে সড়কটিতে যেন একাধিক বিভাজক (ডিভাইডার) দেওয়া হয়েছে। কাছে গেলে দেখা যাবে, এগুলো আসলে কোনো বিভাজক নয়; সড়কের অন্তত ছয় জ🅰ায়গা লম্বালম্বিভাবে উঁচু হয়ে গেছে। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সর💞েজমিন দেখা যায়, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বিষয়খালীর বটতলা এলাকা থেকে রাকিবের চায়ের দোকান পর্যন্ত প্রায় ১২০০ ফুট সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হচ্ছে না। এতে সড়কের অনেক স্থানে কার্পেটিং উঠে উঁচু ঢিবির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এ অবস্থাকে ‘সড়কের টিউমার’ বলছেন। অনেকে আবার বলছেন 🐼‘মেঠো রাস্তার পয়ান’।
মহাসড়কটির🐠 কোনো কোনো স্থানে আবার সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। অথচ এ সড়কটিতে শুধু বড় যানবাহন নয়; থ্রি হুইলার, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভটভটির মতো অবৈধ যানও চলাচল করে। মাঝে মধ্যে মহাসড়কের গর্তে ও ‘টিউমারে’ ধাক্কা লেগে এসব যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন সময় মোটরসাইকেল থেকে আরোহী পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এ অবস্থায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এখনো মেরামতের উদ🐷্যোগ নেয়নি ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ।
রাকিব হোসেন নামের স্থানীয় একজন চা দোকানদার বলেন, “রাস্তার কার্পেটিং উঠে উঁচু ঢিবির সৃষ্টি হয়ে ‘টিউমার’ আকার ধারণ করেছে। গত দুই সপ্তাহে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অন্তত🌞 ২০টি মোটরসাইকেল ছিটকে পড়েছে।”
রাকিব আরও বলেন, “বেশিরভাব সময় চা বানানো বাদ দিয়♒ে দৌড়ে গিয়ে জীবন বাঁচাতে মানুষকে রাস্তা থেকে টেনে তুলি। মোটরসাইকেলচালকসহ যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। কখন না জানি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।”
স্থানীয় বাসিন্দা মো. তাকরিম বলেন, “ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কটি দেখতে এখন একদম মেঠো রাস্তায় পরিণত হয়েছে। মেঠো রাস্তায় যেমন গরুর গাড়ি চলতে চলত🐻ে পয়ান (গ্রামের ভাষা) হয়ে যায়, এখন এ রাস্তাটি পয়ানে ꦏপরিণত হয়েছে।”
তাকরিম আরও বলেন, “ঝি🌳নাইদহ শহর থেকে কাজ শেষে প্রতিদিন রাতে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরি। বিষয়খালী এলাকায় এলে রাস্তা উঁচু-নিচু থাকার কারণে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। গাড়ি স্লিপ করলেই ট্রাকের 🐓নিচে চাপাপড়ার আশঙ্কা থাকে।”
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ বলেন, “ছয় লেন প্রকল্পের অধীন সড়কটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এ কারণে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের এখন আর করার 🏅কিছু নেই। এখন সড়কের সব সমস্যা প্রকল্পের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।”