সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা🐷 বাড়ছে। তবে বনে ঠিক কতগুলো বাঘ রয়েছে তা জানতে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে গণনা প্রক🤡ল্প। আগামী ২৯ জুলাই জানা যাবে বাঘের সঠিক সংখ্যা।
গত রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বনের হাড়বাড়িয়া ইকো-൲ট্যুরিজম কেন্দ্রে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বাঘ সংরক্ষণ 𒁃জরিপের উদ্বোধন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই ও শরনখোলা রেঞ্জের আওতায় প্রাকৃতিক বনে ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করা হবে এবং সুন্দরবনে কতগুলো বাঘ রয়েছে তার সংখ্যা আগামী বছরের ২৯ জুলাই ﷽বিশ্ব বাঘ দিবসে ঘোষণা করা হবে।
প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন জানান, ২০১৩-১৪ সালে প্রথমবার সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ ও জরিপ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে সেই জরিপে ১০৬টি 🎶বাঘ সুন্দরবনে আছে বলে জানা যায়। এরপর ২০১৮ সালে জরিপ চালিয়ে ১১৪টি বাঘের তথ্য পাওয়া যায়। এখন সে বাঘ কমেছে নাক🥀ি বেড়েছে, তা জানতে নতুন করে জরিপ শুরু হয়েছে।
আগামী বছরের এপ্রিল মাসে এই জরিপ শেষ হবে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের চাঁদপাই ও শরনখোলা রেঞ্জে ৩০০টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৬০০ ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। পরে তা বিশ্লে♕ষণ শেষে ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা তুলে ধরা হবে। বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্🐠পের আওতায় বাঘ গণনার কাজে দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
ড. আবু নাসের মহাাসিন জানান, সুন্দরবনে🔴 বাঘের শিকার প্রাণি বাড়ছে। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার। তাই সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়বে বলেও ধারনা করা হচ্ছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাঘ গণনার বৈশ্বিক যে পদ্ধতি সেটা হলো ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধ𝓡তি। এর মাধ্যমে বাঘের ঘনত্ব নির্ণয় করে বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়। বাংলাদেশেও একই পদ্ধতি অনুসরণ 🌳করে ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটারের চার হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারে বাঘ গণনার কাজ চালানো হবে। ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘের মুখমণ্ডল ও ডোরা কাটার ছাপ উঠে আসবে। এটা জটিল একটা পরিসংখ্যান। এ কাজ করেই বাঘের সংখ্যা বের করা হবে।