মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় শ্রমিক লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদ🌜ের সঙ্গে &nbs🐬p;আলোচনা না করে ইফতার পার্টির আয়োজন করা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার প🐼ঞ্চসার ই⛄উনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর সন্তোষপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন নাজির ইসলাম (৫৫), নাজির ইসলামের স্ত্রী খোরশেদা বেগম (৫০), ছেলে মোহাম্মদ রাজু (৩২) ও মেয়ে সাথী আক্তার (২৫)। আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দ🐠েওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পঞ্চসার ইউনিয়নের চরসন্তোষপুর গ্রামের নাজির ইসলাম নিজেকে শ্রমিক লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ঘোষণা করে ব্যানার টানিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেন। এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা নাজির ইসলামকে চিহ্নিত মাদ♏ক ব্যবসায়ী উল্লেখ করে ইফতার মাহফিল বন্ধ করতে বলেন। নাজির ইসলাম অনুষ্ঠান চালিয়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আহত নাজির ইসলামের মেয়ে সাথী আক্তার বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করলে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা আকাশ, মাইনুদ্দিন, সালাউদ্দিন, সেকান্দর দলবল নিয়ে হামলা চালায়। আমা꧟র ভাই কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে এসেছে। তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এর আগেও আমার ভাইকে মেরে রক্তাক্ত করেছিল। ইফতার মাহফিলে যারা অংশগ্রহণ করতে এসেছিল তাদেরকেও মেরে রক্তাক্ত করেছে।”
এ বিষয়ে পঞ্চꦏসার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন বলেন, “নাজির ইসলাম এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনোরকম পরামর্শ ছাড়াই মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফয়সাল বিপ্লবের ছবি ব্যবহার করে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। এতে নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলে।”
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভা൲রপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল🍃ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।