ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজে থাকা ২৩🌠 নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। তাদের মধ্💝যে একজন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সাব্বির হোসেন।
জানা যায়, উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে সাব্বির হোসেন ২০১৪ সালে থেকে এ✱সএসসি পাস করেন। এরপর টাঙ্গাইলের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্রগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহ🔯াজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুরಞে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। পরে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যায় তারা।
সাব্বির হোসেনের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র ছেলের জিম্মির খবর শুনে বাবা হারুন অর রশিদ হাউমাউ করে কাঁদচ্ছেন। মা সালেহা বেগম বুক চাপড়িয়ে কাদঁছেন আর বিলাপ করছেন। একমাত্র বোন মিতু আক্তার ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন, তার ভাই যেন জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হয়ে তাদের কাছে আবার ফেরত আসে। তাদের কান্না থামাতে গ্রামের লোকজন বাড়িতে এসে ভি𒁃ড় করছেন। গ্রামের লোকজন ও আত্বীয় স্বজনরা বাড়িতে এসে তাদের শান্তনা দিচ্ছেন। জিম্মির খবর পেয়ে স্বজনরꦛা উদ্বিগ্ন রয়েছেন। তাদের একটাই দাবি সরকার যেন দ্রুত সাব্বিরকে মুক্ত করে আনে।
সাব্বিরের চাচাতো ভাই আহম্মেদ হোসেন রানা বলেন, “সাব্বিররা এক ভাই এক বোন। সে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে। তার বাবা কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। বোনের বিয়ে হয়েছে। সাব্বিরের বাবা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে প্যারাইলাইজড হয়ে শয্যাশায়ী। সাব্বিরের চাকরি হওয়ার পর তার মা শয্যাশায়ী স্বামীকে নিয়ে ꧑সহবপুর তার বাবার বাড়ি বসবাস করেন। সহবতপুরের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে এখন কেউ আর থাকেন না। একমাত্র উপার্জনক্ষম সাব্বির। তার কিছু হয়ে গেলে তাদের আর চলার উপায় থাকবে ন꧃া। সরকারের কাছে দাবি জানাই সাব্বিরসহ সবাইকে যেন জিম্মিদশা থেকে দ্রুত মুক্ত করে।”
সাব্বিরের বোন মিতু আক্তার বলেন, “আমার ভাই গত সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে যে ‘বিষুব র꧅েখা অতিক্রম করলাম’। মাথা ন্যাড়া করে ছবি আপলোড করেছে। এক মাস আগে সে বাড়ি আসছি🗹ল। একদিন থেকেই চলে গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর পেয়ে সবাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। বাবা মা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা শুধু কেঁদেই চলছে আর বলছে ‘আমার ছেলেকে এনে দাও’। আমার একমাত্র ভাইয়ের কিছু হলে বাবা মাকে বাচাঁনো যাবে না। অতি দ্রুত আমার ভাইকে মুক্ত করে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।”