• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩০, ১১ রজব ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


‘প্রাণ গেলেও দেশের মাটি কাউকে দখল করতে দেব না’


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
‘প্রাণ গেলেও দেশের মাটি কাউকে দখল করতে দেব না’

কয়েক দিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা🐲র পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় অংশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে বিজিবি, বিএসএফ এবং উভয় দেশের স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে টানাপোড়েন।

এমন পরিস্থিতিতে মাটির বাঙ্কারে অবস্থান নেওয়া বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর😼 (বিজিবি) সদস্যদের পাশেই কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল।

এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, মাটির ব💧াঙ্কারে পজিশন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিজিবি। আর বিজিবির সদস্যের পাশেই কাস্তে হাতে বসে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন কৃষক বাবুল আলী।

বাবুল আলী শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামের বাসিন🍰্দা। শুক্রবার(১০ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে কথা হয়।

বাবুল আলী বলেন, “‘কাঁটাতারের বেড়া নির্ম💫াণের জন্য💎 ভারতের বিএসএফ মাটি খনন করছিল। এসময় বাধা দেয় বিজিবি। এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এজন্য আমরা গ্রামের মানুষ বিজিবির পাশে দাঁড়িয়েছি। কারণ দেশের মাটি কাউকে দখল করতে দেব না। এমনকি দেশ বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিতেও দ্বিধা করব না। এজন্যই সাহস নিয়ে বিজিবির পাশে কাস্তে হাতে বসে ছিলাম।”

কৃষক বাবুল আ𝓀লী আরও বলেন, “এ ঘটনার কারণে আমাদের এলাকার মানুষের অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে স♔রিষার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু আমরা তাতে কিছু মনে করিনি। আগে দেশ বাঁচানো প্রয়োজন।”

এসময় কথা হয় বাবুল আলীর প্রতিবেশী হারুন অর রশিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমরা সবাই বিজিবির পাশে ছিলাম। কিন্তু বিজিবির এত কাছাকাছি যেতে পারে🔜নি। কিন্তু বাবুল আলী সবার আগে বিজিবির পাশে গিয়েছে। এমনকি বিজিবিඣর পাশে বসে থাকা একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। বাবুল আলীকে দেখতে অনেক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বাড়িতে।”

এর আগে ৫ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার সীমান্ত পিলার ১৭৭/২-এস এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ 🌠শুরু করে বিএসএফ। ঘটনাটি জানতে পেরে বিজিবির পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। পরে বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে রাখে বিএসএফ।

কিন্তু ৭ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ফের কাঁট🍃াতারের বেড়া নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করে বিএসএফ। পরবর্তী সময়ে বিজিবির পক্ষ থেকে আবার বাধা দেওয়া হয়। এতেই শুরু হয় সীমান্তে উত্তেজনা।

এরপর ৮ জানুয়ারি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হেড কোয়ার্টারের অনুমতি ছাড়া সীমান্ꦯতে কওোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না বলে সম্মত হয়।

বিজিবির বেশ কয়েকজন জানান, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শূন্য রেখা বরাবর দুই দেশের অন্তত দেড়শ গজের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে দুই দিকের সম্মতির প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ-ভারতের ১৯৭৫ সালের নীতিমালা অনুযায়ী সীমান্ত লাইন ♕নির্ধারিত হওয়ার পর লাইনের উভয় পাশে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো পক্ষই স্থায়ী বা অস্থায়ী সীমান্ত রক্ষী বা সশস্ত্র কর্মী রাখবে না এবং উভয় পাশে ১৫০ গজের মধ্যে (মোট ৩০০ গজ এলাকায়) কোনো প্রতিরক্ষামূলক কাঠামো, যেমন পরিখা বা অন্যকিছু থাকলে সেগুলো ধ্বংস বা ভরাট করতে হবে।

Link copied!