হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন যশোর জেলার শার্শা উপজেলার মনজুরুল আꦚহসান। বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি। এসব ফুলকপি দেখতে ও কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
তরুণ কৃষক মনজুরুল আহসান শার্শা উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা। উপজেলার কৃষি সম্প্রসার🐭ণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা ও কর্মকর্তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথমবারের মতো এক হাজার গাছ জমিতে রোপণ করেন।
বাহারি রঙের ফুলকপি দুটির নামও সুন্দর। গোলাপি রঙের ফুলকপির নাম ‘ভ্যালেন্টিনা’ আর হলুদ রঙের ফুলকপি🐼র নাম💃 ‘ক্যারোটিনা’।
মনজুরুল আহসান বলেন, “আমি যখন জমিতে ফুলকপি চাষ করি; তখন এলাকার অন্য চাষিরা বলছিলেন এই ফুলকপি কি বিক্রি করতে পারব? আমার ম🌃নে জোর ছিল যে বাজারে বিক্রি করতে পারব। সেই আশায় চাষ করে বেশ সাড়া পেয়েছি। প্রতিদিন ফুলকপি কেনার জন্য জমিতে ক্রেতারা আসছেন। এই কপি চাষে কষ্ট কম বলে নিজেই চাষ করেছি, তাতে খরচও কম হয়েছে।”
এই দুই জাতের চাষের ফুলকপি চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে💦 জানতে মনজুরুল আহসান আরও বলেন, “ভ্যালেন্টিনা ও ক্যারোটিনা জাতের ফুলকপি সাধারণ ফুলকপির মতোই পরিচর্যা করতে হয়। এবার পরীক্ষামূলক করলেও আগামীতে আরও বেশি চাষ করার ইচ্ছা রয়েছে।”
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, দুটি জাতের ফুলকপ⛎ির মধ্যে গোলাপি রঙের ফুলকপির নাম ভ্যালেন্টিনা ও হলুদ রঙের ফুলকপির নাম ক্যারোটিনা। সাদা ফুলকপির চেয়ে এই দুই জা💯তের রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর। গতানুগতিক সাদা রঙের ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির বাজারমূল্য বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, “প্রথমবার শার্শায় বাহারি রঙের ফুলকপি চাষে ভালো ফলন পেয়েছে চাষিরা। এলাকার অন্য কৃষকদের মাঝে বেশ আগ্রহ তৈর🍸ি করেছে। রঙিন ফুলকপিতে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ মানবদেহে উপকারী বিভিন্ন উপাদান আছে। সাধারণ ফুলকপি যেখানে ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়; সেখানে এটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়।”