• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস-পরীক্ষা


সুজন মোহন্ত, কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৩, ০৯:১৫ এএম
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস-পরীক্ষা

কুড়িগ্রাম 🦩সরকারি কলেজের প্রশাসনিক মূল ভবনের দ্বিতীয় তলার বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকটি কক্ষে ও বারান্দায় পলেস্তারা ধসে বের হয়েছে রড। এরপরও বাঁশের খুঁটি দিয়ে চলছে ক্লাস ও পরীক্ষা।

রোববার (২৮ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনিক ভবনের ♏দ্বিতীয় তলায় সম্মান তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলছে। কোনোটিতে চলছে পাঠদান। শিক্ষার্থীরা বারবার মাথার ওপর তাকাচ্ছে ভয় আর উৎকণ্ঠা নিয়ে। পাশের একটি কক্ষ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে।

কলেজ সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজে বর্তমানে ১৪টি বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স, ৬টি বিষয়ে মাস্টার্স পূর্বপাঠ, ডিগ্রি (পাস) ও উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণি মিলে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। প্রায় ৬২ বছর আগে প্রতꦇিষ্ঠিত এই প্ꦚরশাসনিক মূল ভবনে ৩২টি শ্রেণিকক্ষ, একটি অডিটরিয়াম, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ কার্যালয়সহ কয়েকটি বিভাগের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্পন্ন হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আসিফ ইকবাল বলেন, “ছাদের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও পলেস্তারা ধসে পড়ে রড বের হয়ে আছে। ভবনের কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছিল। পরে বাকি অংশগ🎉ুলো মেরামত না করে বাঁশের খুঁটি দিয়েছে। আমাদের ক্লাস করতে কিছুটা ভয় লাগে।”

কলেজের আরেক শিক্ষার্থী কল্লোল রায় বলেন, “অনার্সের পরীক♋্ষাগুলো দ্বিতীয় তলায় ঝুঁকিপূর্ণ রুমগুলোতে হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীরা অনেকট𒐪া আতঙ্ক নিয়েই পরীক্ষা দিচ্ছি। অনেক সময় পরীক্ষার মাঝে আচমকা টেনশন কাজ করে এই বুঝি ছাদ ভেঙে মাথার ওপরে পড়ে।”

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা মো. নাসির উদ্দীন বলে൲ন, “প্রশাসনিক ভবনটি কলেজের সবচেয়ে পুরোনো ভবন। এ কারণে কিছু জায়গায় পলেস🙈্তারা খসে গেছে। আমরা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানোর পর তারা এসে কাজ শুরু করে। প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় তারা কাজ বন্ধ করে বাঁশের খুঁটি দিয়ে রেখে গেছে। এরপর কিছুদিন আগে পুনরায় বাজেট বরাদ্দ পেয়েছি। আশা করছি শিক্ষা প্রকৌশল থেকে দ্রুত পুনরায় সংস্কারকাজ শুরু করবে।”

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, “মাঝখানে আমরা যে কাজটি করেছিলাম, সেটি অন্য একটি কাজের অর্থ ছিল। টাকা না থাকায় আমরা বাঁশ দিয়ে রেখেছিলাম। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ভবন সংস্কারের জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর টেন💝্ডারౠ করে কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।”

Link copied!