চলতি বছরের মে ও জুন মাসে তিন দফায় ❀🤪ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সিলেট বিভাগের চার জেলা। বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ এই বন্যা দেখা দেয়।
এই সময়ে দেশের আরও কিছু জেলায় বন্🎃যা দেখা দিলেও সবচেয়ে বেশি ৫৫ জনের মৃত্যু হয় সিলেট বিভাগে। বেশিরভাগ পানিতে ডুবে, বজ্রপাতে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, টিলা ধসে এবং সাপের কামড়ে নিহত হন। জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ২৭ জনের মৃত্যু হয় সুনামগঞ্জে। সিলেট জেলায় মারা যান ১৮ জন। এছাড়া হবিগঞ্জে পাঁচজন ও মৌলভীবাজারে পাঁচজনের প্রাণহানি হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে সিলেটে তিন দফা বন্ꦗযায় বোরো, আউশের বীজতলা, আউশের ফলন, সবজি, বোনা আমন ও চিনাবাদামের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সব মিলিয়ে ১ হাজার ১১৩ কোটি ৮৫ লা🍒খ ৫৮ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৪ লাখ ২৯ হাজার ৪০১ জন।
আউশ ধান ও বীজতলার সবচেয়ে ক্ষতি হয়। আউশে ৫৬১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, সবজিতে ৩৬৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে ১১৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা, বোনা আমনের ক্ষতি ৫৭ কোটি ৩৪ লাখ, আউশের বীজতলায় ১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা এবং চিনাবাদামে ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকার ক্ষতি নি🌜রূপণ করা হয়।
স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় সড়কের ক্ষতি হয় ব্যাপক। এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা। এলজিইডির তথ্য অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও কালভার্টের বড় অংশই সিলেট বিভাগের চার জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে। এই চার জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১ হাজার ৫২৬ কিলোমিটার সড়ক, যা বন্যায় সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত মোট সড়কের ৮৫ ▨শতাংশ। এর মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ক্ষয়ক্ষতি ছিল বেশি। সর্বোচ্চ ৬৪৭ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিলেট জেলায়। সুনামগঞ্জ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫৫৫ কিলোমিটার সড়ক।
বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় মৎস্যখাতেও, যার আর্থিক পরিমাণ প্রা🉐য় ১৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। মৎস্য অধিদপ্ত♋র সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় সিলেট বিভাগে ৫ হাজার ৪৩১ হেক্টরের ৪০ হাজার ৫৩৮টি পুকুর, দিঘি, খামার ডুবে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন ৩৩ হাজার ১২ জন খামারি। মাছের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১১৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং পোনা মাছের ক্ষতি হয় ১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার। আর অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয় ৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
শিক্ষাখাতে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টার মধ্যেই বন্যা ডুবিয়ে দেয় শিক্ষা ব্যবস্থাকেও। সিলেট ও সুনামগঞ্জের অন্তত ১ হাজার ২০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্ধ হয়ে যায় পাঠদান। বন্যায় আক্রান্ত হওয়া থেকে বেঁচে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহৃত হয় বন্যাকবলিতদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে।&nbs♎p;