যশোর শহর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে নরেন্দ্রপুর গ্রাম। এই গ্রামের মিস্ত্রীপাড়াই মূলত ‘ব্যাটের গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত। এই গ্রামে দেশীয় প্রযুক্তিতে এখন এতো বেশি ক্রিকেট ব্যাট তৈরি ও বিপণন হচ্ছে যে, স্থানীয়রা এখন নরেন্দ্রপুর গ্রামকে চেনে ‘ব্যাটের গ্রাম’ নামে। এ এলাকার অনেকেই এখন ক্রিকেট ব্যাট তৈরি করে পাল্টে ফেলেছ🐷েন নিজেদের ভাগ্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কারখানা নরেন্দ্রপুরের মি☂স্ত্রীপাড়া ছাড়িয়ে মহাজেরপাড়া, রুদ্রপুর, বলরামপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে গড়ে উঠেছে ৮০ থেকে ১০০টি কারখানা। এসব কারখানায় শুরুতে সব কাজ হাতে করﷺা হলেও বর্তমানে অনেকেই আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে করছেন। এতে আগের তুলনায় কাজের গতি বেড়েছে। এসব কারখানায় মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার ব্যাট তৈরি হচ্ছে।
এই ব্যাট তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ছাতিয়ান, কদম, নিম, জীবন, পিঠেগড়া, আমড়াসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় কাঠ। শ্রমিকদের পাশাপাশি বাড়ির বউ-ছেলেমেয়েরাও টুকটাক কাজ করেন। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে ব্যাটে পুডিং লাগানো, ঘষামাজা কꦕরা, স্টিকার লাগানো, প্যাকেটজাত করা।
ব্যাট নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, একশ ব্যাট বানিয়ে দিলে তারা এক থেকে দেড় হাজার টাকা হারে মজুরি পেয়ে থাকেন। তাদের পক্ষে সপ্তাহে চারশ ব্যাট তৈরি করা সম্ভব। ব্যাটে পুডিং, স্টিকার লাগ🐽ানোসহ পালিশের কাজ করেন অন্যরা। রং, বার্নিশ লাগানোর পর ব্যাট তৈরির পরের ধাপে ব্যাটের হাতলে পেঁচানো হয় কালো ফিতার মত জিনিস, যাতে শক্তভাবে ব্যাটের হাতল ধরে খেলা যায়। এ কাজেও বড় ভূমিকা নেন বাড়ির মেয়েরা।
একটি কারখানার মালিক রতন মজুমদা🔯র বলেন, “একসময় আমরা ১ হাজার ব্যাট বানাতে ভয় পেতাম, যদি বিক্রি না হয় এই ভয়ে। কিন্তু বর্তমানে আমরা দুই ভাই মিলে বছরে ৩০ হাজার ব্যাট তৈরি করি। আমাদের ব্যাটের সুনাম ছড়িয়ে পড়া꧅য় দিন দিন ব্যাটের চাহিদা বেড়েই চলছে।”
রতন মজুমদারের মতো ওই গ্রামের পলাশ মজুমদা🅘র, পাপন শেখ, রতন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম, ইয়ার আলী, নূর মোহাম্মদ, শরিফুল ইসলাম, আশরাফুল হোসেন, গৌরাঙ্গ রায়, সমীর সমাদ্দার, তাজউদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, সুবল কুমার, স্বপন সে꧃নসহ অনেকে ব্যাট তৈরি করেন।