• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


প্রেমিকের হাতে স্বামী খুন

পরকীয় থেকে স্ত্রীকে ফেরানোই কাল হলো!


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
পরকীয় থেকে স্ত্রীকে ফেরানোই কাল হলো!
নিহত মোহাম্মদ আলী মাদবরের স্ত্রী মুন্নি বেগম। ছবি : প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে বেশ কয়েকবার পালিয়ে গিয়েছিল স্ত্রী। এরপরেও সন্তানদের কথা ভেবে বারবারই স্বামী মোহাম্মদ আলী ওই স্ত্রীকে আবার ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদারের বুদ্ধিতে স্বামীকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে রাতের আঁধারে পরকীয়া প্রেমিকের কাছে𓂃 তুলে দেয় স্ত্রী মুন্নি বেগম।🍌 এরপর একটি পুকুর থেকে স্বামী মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের রাড়ী কান্দি এলাকায় স্বামীর বাড়িতে বসে মোহাম্মদ আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করছিলেন স্ত্রী মুন▨্ন෴ি বেগম।

এর আগে বৃহস্পতিবার💝 (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া মাদবরের পুকুর থেকে মোহাম্মদ আলী মাদবরের মরদেহ উদ্ধার 🐼করে থানা পুলিশ।

নিহত মোহাম্মদ আলী মাদবর (৪০) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিন মাদবরের ছে🦩লে। পেশায় তিনি🎉 একজন সিএনজিচালক ছিলেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত🌜্রে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে মোহাম্মদ আলী মাদবরের সঙ্গে বিয়ে হ൲য় মুন্নি বেগমের। তাদের সংসারে দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মুন্নি বেগম প্রায়ই তার পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদারের সঙ্গে পালিয়ে চলে যেতেন। কিছুদিন আগেও মুন্নি বেগম মামুনের সঙ্গে পালিয়ে যান। কিন্তু ছোট সন্তানদের কথা ভেবে মোহাম্মদ আলী মাদবর তার স্ত্রী মুন্নিকে আবার ফিরিয়ে আনেন। এরপরও পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদার বিভিন্নভাবে মুন্নি বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।

ব💖ুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে মোহাম্মদ আলী মাদবর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতাল থেকে মোহাম্মদ আলীর স্বজনরা জানতে পারেন মোহাম্মদ আলী ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। এরপর বাড়িতে এসে মুন্নি বেগমের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে পরকীয়া প্রেমিক মামুন ও তার সঙ্গীদের কাছে তুলে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মুন্নি বেগম। এরপর মুন্নি বেগমকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী।

নিহত মোহাম্মদ আলী মাদবরের স্ত্রী মুন্নি বেগমের একটি ভিডিও এসেছে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবেদকের হাতে। ওই ভিডিওতে তিনি বলেছেন, “আমি চলে গিয়েছিলাম। এরপর ঝামেলা করে আমাকে আবারও এনেছিল মোহাম্মদ আলী। এই বাড়িতে আসার পরেও মামুনের সঙ্গে আমার মোবাইলে যোগাযোগ হয়েছিল। মামুন আমাকে বলেছিল, মোহাম্মদ আলী আমার (মামুনের) নামে মামলা করেছে। মামলা যদি চলমান থাকে তাহলে মোহাম্মদ আলীর ক্ষতি করব। কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম, মোহাম্মদ আলী মামলা তুলে ফেলবে, ক্ষতি করার দরকার নেই। কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি বরং আমাকে ভয় দেখিয়ে বলেছে, ‘আজ ঘুমের ওষুধ দিয়ে 🔜যাব, এই ওষুধ মোহাম্মদ আলীকে খাওয়াতে হবে। নয়তো ত🐈োমার মেয়েদের মেরে ফেলব।’ মামুনের এমন কথায় আমি মোহাম্মদ আলীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়েছি। এরপর মামুন এসে মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে গেছে। মামুন যখন মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে যায়, তখন ওর সঙ্গে আরও দুইজন ছেলে ছিল, আমি তাদের চিনি না। যখন মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন মোহাম্মদ আলী অজ্ঞান ছিল।”

নিহতের ভাতিজা আসিফ মাদবর সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “কাকি দুই-তিন বার চলে গিয়েছিলেন। কাকা শিশু মেয়েদের দিকে তাকিয়ে বা🐻রবার ফিরিয়ে এনেছেন। কিন্তু কাকি ভালো হয়নি। বুধবার রাতে প্রথমে কাকার কাছ থেকে সব টাকা পয়সা নিয়ে নেয় কাকি। এরপর কাকাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরকীয়া প্রেমিক মামুনের কাছে তুলে দেন। মামুন আꦰমার কাকাকে মেরে ফেলছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।”

নিহতের বড় বোন আয়েশা বেগম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বারবার চলে যাওয়া সত্ত্বেও আমার ভাই মুন্নিকে এনেছিল। কিন্তু বুধবার রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরকীয়া প্⛎রেমিক দিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে মুন্নি। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।”

এ নিয়ে শরীয়তপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “নিহত মোহাম্মদ আলীর পরিবারে দাম্পত্য কলহ ছিল। বি🍬ষয়টি নিয়ে থানায় বেশ কয়েক বার অভিযোগ করা হয়েছিল। মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল স্বজনরা। বিষয়টি পুলিশ টের পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে।”

মুন্নি বেগম ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়েছেন, এমন একটি ভিডিও এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে। বিষয়টি আসলে কী? এমন প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবীব বলেন, “যদি স্বীকার করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে, পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা꧒ হবে।”

Link copied!