পঞ্চগড়ে মৃদু থকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ঘনকুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাত🌳াসে জবুথবু জনজীবন। বুধবার (২৪ জানুয়ারী) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে ভোর ৬টায় ৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্🍒ড হয়েছে। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি।
তেঁতু♑লিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাসেল শাহ বলেন, গতকালের তুলনায় ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে জেলায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ধরে ভোর থেকে কুয়াশা ও হিমশীতলের বাতাসের কারণে তীব্রশীত অনুভূত হচ🌼্ছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকে ঘন কুয়াশা। তবে কুয়াশা ভেদ করেই দেখা মিলেছে পূবের সূর্য। হিম বাতাসে ঝরছে শীতের বৃষ্টি। সড়কগুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। তীব্র শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়াজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে 🅷হচ্ছে।
এদিকে শীতের কারণে প🦋াল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হা𓆏সপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছেন না।
জেলা প্রশাসক মো. জহুররুল ইসলাম বলেন, শীতপ্রবণ জেলা হিসেবে প্রতি বছর পঞ্চগড়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে পর𒈔্যাপ্ত কম্বল বিতরণ করা হয়। এবারও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।