টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল মধ্যপাড়া গ্রামের প্রবাসী সাত্তার মিয়ার বাড়ির বাথরুমের পাশ থেকে এক নব🌃জাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) রাত ৩টার দিকে কান্নার শব্দ পেয়ে প্রবাসী সাত্তার মিয়ার স্ত্রী নি💎লুফা বেগম শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
নিলুফা বেগম বলেন, “রাতে টিউবওয়েলের কাছে গিয়ে কান্নার শব্দ পাই। এরপর ভয় পেয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে আমার ছেলে ও আমার ছেলের বউকে ডেকে আনি। পরে পাশেই আমার বড় ভাসুরকে ডাক দেই। এরপর লাঠিসহ লাইট নিয়ে সামনে গেলে দেখি শিশুটি পিঁপড়াসহ পোকা-মাকড়ে জড়িয়ে রয়েছে। পরে আমি ওরনা দিয়ে শিশুটিকে পেঁচ🐲িয়ে নিয়ে আসি। এরপর শরীরের পোকা-মাকড় ছাড়িয়ে গোসল করাই। আমি যেহেতু পেয়েছি এখন সরকারের কাছে দাবি করব, যাতে শিশুটিকে আমাকে লালন পালন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।”
নিলুফা বেগমের ছেলে আকাশ মিয়া বলেন, “আমাকে আমার স্ত্রী ডাক দিলে বের হয়ে দেখি সবাই ভয়ে কাঁপছে। পরে লাঠি হাতে নিয়ে সামনে লাইট ধরে দেখি একটি শিশু বাচ্চা। পরে আমরা উদ্ধার করে নি✨য়ে এসেছি।”
স্থানীয় লিমা আক✅্তার বলেন, “এই রকম কাজ আমার জীবনে কখনো দেখি নাই। নিজের সন্তানকে এই রকম বাজে একটা জায়গায় রেখে যায়। যেই মহিলা এমনর করেছে সে মা নামে অভিশাপ।”
সোনিয়া বেগম নামের আরেকজন বলেন, “আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি এই শিশুর কথা শুনে। একজন মা কোনো দিন নিজের সন্তানকে ফেলে র🌃েখে যেতে 🌞পারে না। আমরা জানতে চাই কে এরকম জঘন্য কাজ করেছে।”
কাশিল ইউনিয়ন পরিষদেꦫর চেয়ারম্যান রমজান মিয়া বলেন, “খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় ফোন করি। পরে পুলিশ এসে নবজাতকটির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছে।”
বাসাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ সরকা꧃র বলেন, “বাচ্চাটিকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করছি কে বা কারা এই শিশুকে এভাবে 🐼ফেলে রেখে গেছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরুখ খান বলেন, “নবজাতকটিকে জেলা সমাজসেবা কা🎀র্যালয়ের জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে। নবজাতকটির চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। জেলা প্রশাসক নবজাতকটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।”