ময়মনসিংহ নগরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক সাইদুল ইসলাম (৪০) নামের ♒এক যুবদল নেতা মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর)♉ এশার নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।
সাইদুল মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি নগরীর 🌠গোলপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা আবদুস ছালামের ছেলে।
স্বজন ও দলীয় সূত্র জানায়, সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরের গোলপুকুর পাড় এলাকায় সাইদুল ইসলামের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পরে রাত একটার দিকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা ꦚকরেন।
হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, সাইদুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এনেছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। হাসপাতালের আরেকটি সূত্র জানায়, শুধু সাইদুল ইসলাম নন, একই সঙ্গে আরও পাঁচজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের প🃏্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ♔৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি ও বালুমহাল দখল, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি, অস্ত্র প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর কাছে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা হয়।
জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আজ সাইদুলের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে✤ ময়নাতদন্ত শেষে বেলা তিনটার পর পরিবারের কাছে সাইদুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
সাইদুলের মৃত্যুর বিষয়ে স্বজনদের🍒 কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। মহানগর যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক (টুটু) বলেন, “সোমবার রাতে ধরে নিয়ে যায় বলে শুনেছি। সকালে মৃত্যুর খবর পাই। পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, কোমর থেকে শরীরের নিচের অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আগꦗে থেকে হৃদ্রোগে ভুগছিলেন সাইদুল।”
তার মৃত্যু নিয়ে তিনিও কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক হয়েছিলেন সাইদুল ইসলাম। পরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সুরতহালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে কি না, তা তিনি বলতে চাননি। সুরতহাল প্রতিবেদন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট করেছেন।