কয়েক দিন 🐟ধরে সারা দেশে গরমে তীব্রতা বেড়েই চলেছে। অসহনীয় এই গরমে অতিষ্ঠ হয়🐟ে উঠেছে জনজীবন। এরই মধ্যে তীব্র গরমে পাবনা শহরে হিটস্ট্রোক করে সুকুমার দাস (৬০) নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিটস্ট্রোক করেন সুকুমার দাস। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার 🎶করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুকুমার পাব𒐪নার শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।
পাবনা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো.ꦗ রফিকুল ইসলাম রিমন♓ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত꧑্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, কয়েকদিন ধরেই পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজಌকে রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে এ বছর এতো তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। ঈশ্বরদীসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এ তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাজমুল হক বলেন, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনই বলা যাচ্ছে না। সন্ধ্য🌌ার পর অন্যান্য জেলার তথ্য নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সন্ধ্যাকালীন বিজ্ঞ🌞প্তিতে বিস্তারিত জানানো হবে।
নাজমুল হক আরও বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলায়🍌 সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে, যা ঈশ্বরদীতে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। কিন্তু আজকের তাপমাত্রা আরও বেশি। এই তাপপ🦹্রবাহের ফলে ঈশ্বরদী ও আশেপাশের এলাকার ওপর দিয়ে ‘তীব্র তাপপ্রবাহ’ বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। তীব্র এই তাপপ্রবাহꦓে সব থেকে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। জ🃏ীবন-জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। বাইরে বের হওয়ার সময় অনেকেই ছাতা নিয়ে বের হচ্ছেন।
অপরদিকে জরুরি প্রয়োজন ছ💃াড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা জানিয়েছেন, এই সময়ে ডায়েরিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি-কাশি, পক্স, হিট স্ট্রোক, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি হতে পারে। প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তি পেতে কেউ যেন ডিপ ফ্রিজের পানি পান না করে। এ সময় প্রচুর পানি, ডাবের পানি, দেশি ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন। দিনমজুর বিশেষ করে কৃষকরা যেন বেলা ১১টার মধ্যে এবং বিকলে🥂 তাপমাত্রা কমলে কাজ করেন সেই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।