বহুল আলোচিত-সমালোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্🌃ডের (এনবিআর) সদ্য অপসারিত সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী 🌃হঠাৎ খেলার মাঠে নিজের পক্ষে ছাফাই গাইলেন।
নিজেকে ষড়যܫন্ত্রের শিকার বলে দাবি করে তিনি বলেন, “আমি সরকারি চাকরি করেছি। কোনো অন্যায় করিনি। আমি আমার পথে এগিয়েছি। আমি রায়পুরা-নরসিংদীসহ বাংলাদেশে কোথাও কোনো দুর্নীতি করিনি। যদি দুর্নীতি করে থাকি আইন আছে। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আইনের ম♏াধ্যমে আমার বিচার হবে। তাছাড়া আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। গণঅভ্যুত্থানের নেত্রী ছিলাম। আমি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে মহিলা আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সদস্য পদে ছিলাম। হুট করে রায়পুরা এসে রাজনীতি করিনি। আমি কোনো কিছুর বিনিময় বা কারও কাছে ভিক্ষা চেয়ে জেলা আওয়ামী লীগে পদ পাইনি।”
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের বাঙালিনগর মাঠে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত থেকে আগতদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। এরপর তার বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মির্জানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বশির🤪 উদ্দিন সরকার রিপন ও চরসুবুদ্ধি ইউনিয়য়ের চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন উপস্থি🦩ত ছিলেন।
১২ লাখ টাকার ছাগল বুকিং দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোপের মুখে পড়েন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফি💦কুর রহমান ইফাত। পরে আয়ের উৎস অনুসন্ধানে গিয়ে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। খুলে যায় এক সাধারণ এনবিআর কর্মকর্তার অসাধারণ দুর্নীতির মুখোশ।
নিজের ছেলে নয় সতিনের ছেলের ছাগলকাণ্ডে পাগল হয়ে পালিয়ে ঈদ করতে হয়েছে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ল♑াকীকে। এই ঘটনায় স্বামী মতিউরের সঙ্গে লাকীর বেড়েছে দূরত্ব, সম্পর্কে ধরেছে ফাটল। দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করলেও অবশেষে শুভাকাঙ্খীদের পরামর্শে প্রকাশ্যে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, চিহ্নিত রাজাকার আব্দুল কাদিরের নাতনি এই লাকী। তিনি এখন নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের দুর্যোগ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক। রাজাকার পরিবারের সন্তান হয়ে কীভাবে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত হলেন ꩵতা নিয়েও স্থানীয়দের মাঝে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
তিতুমীর কলেজের একজন সাধারণ শিক্ষক থেকে রাতারাতি রাজনীতির মাঠে নেমে সাড়া ফেলেন লাকী। স্🀅থানীয় প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। নেতার সঙ্গে সম্পর্কের পাশাপাশি স্বামী মতিউরের অবৈধ টাকার জোরেই রাজনীতির ময়দানে তিনি জায়গা করে নেন বলেই মনে করেন নরসিংদীর মানুষ।