• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


২৮ বছর পরও অক্ষত মরদেহ

‘স্বপ্নে দেখেছি বাবা বলছেন, আমার কবরটা সরিয়ে নাও’


চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৩:২৭ পিএম
‘স্বপ্নে দেখেছি বাবা বলছেন, আমার কবরটা সরিয়ে নাও’

কবর দেওয়ার ২৮ বছর পরও কাফনের কাপড়সহ এক ব্যক্তির ‘অক্ষত’ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটন💞ার পর জেলাজুড়ে চাঞ্চল্꧟য সৃষ্টি হয়েছে।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ড🍷েঙ্গুরভিটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুনরায় মরদেহট🀅ি দাফন করা হয়।

জানা যায়, ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. সাহেব আলী খান ৭২ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। পরে তাকে ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন༒ করা♓ হয়েছিল।

মো. সাহেব আলী খানের ছেলে মো. মোবারক হোসেন খান বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে বসবাস করে আসছি, গ্রাম থেকে ফোনে জানানো হয়েছে আমার বাবার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে। আমি কয়েকবার স্বপ্নেও দেখেছি বাবা বলেছে আমার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে, তুমি আমার কবরটা এখান থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নাও। তখন আমি চাচা এবং গ্রামের লোকজনকে বলেছি দেশে এলে বাবার কবরটা এখান থেকে সরিয়ে নেব। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) আমি ইতালি থেকে দেশে এসে হুজুরদের সঙ্গে কথা বলে ধর্মীয় নিয়ম মেনে আত্মীয় স্বজন ও এলাকার লোকজন নিয়ে বেলা ১১টার দিকে ♑কবরের কাছে যাই।”

মোবারক আরও বলেন, “কবর খুঁড়তেই সাদা কাপড় দেখতে পাই আমরা। এ♔কপর্যায়ে অক্ষত মরদেহ দেখে ওই জায়গা থেকে উত্তোলন করে আমার মায়ের কবরের পাশে দাফন করি। ২৮ বছর পরও বাবার মরদেহ অক্ষত দেখে সবাই হতভম্ব হন।”

এদিকে ২৮ বছরে মরদেহ কবরে অক্ষত থাকার খবর শুনে ওই বাড়িতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। শুধু এ🅘লাকাবাসী নন, দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে দেখতে আসেন মরদেহ।

মো. মোবারক হোসেন খান বলেন, “আমার☂ বাবা সাধারণ মুসল্লি ছিলেন। অনেক পরহেজগার ছিলেন তিনি। মরদেহ কবর থেকে তোলার পর দেখি কাফনের কাপড়ও নষ্ট হয়নি। ধরে দেখি কাপড়ের ভেতরে শুকনো দꦡেহ আছে। প্রতিটি হাড়ের জোড়া শক্ত। হাত-পায়ের জোড়া বিচ্ছিন্ন হয়নি।”

এ বিষয়ে ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের আব্দুল গনি খান, মো. ফজলুল হক বকাউল ও ফয়সাল আহাম্মেদ বলেন,🎐 “সাহেব আলী খানের মরদেহ অলৌকিকভাবে ২৮ বছর পরও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্মীয় রীতি ম🌼েনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।”

ছেংগারচর বাজার আন-নুর ইসলামীয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ ক্বারি মাওলানা মাইনুদ্দিন খান𓆉 বলেন, “আল্লাহ নানাভাবে তার কুদরতের নিদর্শন দেখান। হয়তো এটি আল্লাহর একটি নিদর্শন। এমনও হতে পারে মো. সাহেব আলী খান আল্লাহর গ্রহণযোগ্য বান্দা ছিলেন। তাই অলৌকি𒁃কভাবে মরদেহ অক্ষত আছে। এ ধরনের মরদেহের গোসল ও জানাজা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী স্থানান্তর করে দাফন করলেই হয়।”

ꦬমতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি দেখেছি। এ বিষয়ে কেউ জানায়নি। শুনেছি মরদেহ উত্তোলনের পর ফের কবর দেওয়া হয়েছে।”

Link copied!