হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে ফরিদপুরের সালথা-নগরকান্দায় পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সরেজমিনে সালথার বালিয়া গ্রামের মাঠে গিয়ে🦩 দেখা যায়, মাঠের বেশির ভাগ নিচু জমির পেঁয়াজ তলিয়ে গেছে। আর উঁচু জমির পেঁয়াজ শিলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা পেঁয়াজক্ষেতের ভেতরে আগাম পাটের বীজ বপন করেছেন, তাদের আরও🙈 বেশি ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সালথার বালিয়া গট্টি গ্রামের কৃষক মো. সবুর খান বলেন, “আমি এবার চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। এর মধ্যে শিলাবৃষ্টিতে তিন বিঘা জমির পেঁয়াজই তল🔜িয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া এসব পেঁয়াজ ঘরে মজুত রাখা সম্ভব নয়। ঘরে রাখলে সব পচে যাবে।”
মো. মনসুর মাতুব্বর নামের আরেক কৃষক বলেন, “গত বছর পেঁয়াজ চাষ করে লোকসান হয়েছে। তারপরেও এবার দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। ফলন তেমন ভালো হয়নি। দু-এক 🐼দিনের মধ্যে ক্ষেতের পেঁয়াজ উত্তোলন করতে চেয়েছিলাম। তার আগেই শিলাবৃষ্টিতে পেঁয়াজ তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”
নগরকান্দার বিনোকদিয়া এলাকার কৃষক মিলন শেখ বলেন, “শিলাবৃষ্টিতে আমাদের এলাকায় পেঁয়াজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বেশি ক✨্ষতি হয়েছে পেঁয়াজের বীজের। এবার হালি পেঁয়াজ ঘরে রাখা যাবে না, আবার এসব পেঁয়াজ এখন বাজারে বিক্রি করলেও কম দামে বিক্রি করতে হবে। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে। এই দামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে এবারও পেঁয়াজ চাষ করে লোকসান হবে আমাদের।”
এ বিষয়ে সালথা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জীবাংশু দাস বলেন, “শিলাবৃষ্টিতে আংশিক ক্ষতি হয়েছে পেঁয়াজের দানার। কিছু নিচু জমির পেঁয়াজ তলিয়ে গেলেও পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। আবহাওয়া এমন থাকলে বা আর বৃষ্টি না হলে তলিয়ে যাওয়া পেঁয়াজের বেশি ক্ষতি হবে না। তবে এসব পেঁয়াজ বেশি দিন ঘর꧟ে রাখা যাবে না। আর শিলার আঘাতে পেঁয়াজের যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে বেশি সমস্যা হবে না।”