শে🔴রপুরের পাঁচ উপজেলায় জমে 🃏উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরগুলোর তুলনায় এবার বিক্রি খুবই ভালো। আর ক্রেতারা জানিয়েছেন, পোশাকের গলাকাটা দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের পৌর শপিং কমপ্লেক্স, নিউ মার্কেট, মুসলিম মার্কেট, শহীদ বুলবুল সড়কে তৈরি পোশাক এবং নয়আনী বাজারের কাপড় ও জুতার দোকানগুলোতে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ব্যাপক সমাগম। ওইসব বিপনীবিতানে ছেলেদের পাঞ্জাবি-পায়জামা, শার্ট-প্যান্ট, মেয়েদের থ্রি-পিস, ফ্রক, স্কার্ট ও শিশুদের শার্ট-প্যান্ট, পাঞ্জাবি-পাজামাসহ না⭕না রঙের নজরকাড়া পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম, রাশেদ মিয়া ও শাহজাহান শেখ বলেন, শেষ সময়ে পছন্দের পোশাক পাবেন কি না এমন চিন্তা থেকে এবার আগাম জমেছে ঈদ বাজার। ক্রেতাদের পদচারণায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মূখর থাকছে বিপনীবিতানগুলো। শিশু ও তরুণীদের জন্য ফ্রক, গাউন, জিপসি, ফ্লোর টাচ, অর্গান্ডি থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, চাইনিজ পার্টি ড্রেস, ইন্ডিয়ান অরগানজা জা💛মা বিক্রি হচ্ছে।
এ বছর কিশোরী ও তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে আছে আলিয়া ভাট নামের জামা। এরপরই মাসাকাল্লি, নায়রাকাট, কালামকারি ও নবাবী নামের থ্রি-পিসের চাহিদা রয়েছে। পোশাকগুলো প্রকারভেদের দুই থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বি🧔ক্রি হচ্ছে।
আকাশ ফ্যাশনের মালিক জয়নাল আবেদীন বলেন, ছেলেরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যান্ট, শার্ট ও পাঞ্জাবি কিনছে। স্কুল-কলেজপড়ুয়াদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে পাঠান ও বাহুবলী-২ নামের পাঞ্জাবি। বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। কেউ কেউ সুতি কাপড়ের পায়জামা-পাঞ্জাবিও কিনছেꩵন। এগুলো দেড় হাজার থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
শহরের কাপড়পট্টি এলাকার পোদ্দার বস্ত্রালয়ের বিক্রয়কর্মী গনেশ দাশ বলেন, এবার বিভিন্ন ধরনে🐬র সিল্ক শাড়ি, সুতি কাতান, স্বর্ণ কাতান, বেনারসি, হাফ সিল্ক, জামদানি শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। দুই থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব শাড়ি। আর নিম্ন-আয়ের ক্রেতারা কিনছেন ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে শাহজাদপুর ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি।
কাপড় ব্যবসায়ী এম এম মজিদ বলেন, “আমাদের এখানে মেয়েদের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের থ্রি-পিসের পাশাপাশি ছেলেদের কাপড়ের কালেকশন রয়েছে। তৈরি পোশাকের তুলনায় এবার ছিট ক🐎াপড়ের দাম খুব একটা বাড়েনি। রমজানের শুরু থেকেই ছিট কাপড়ের বেচা বিক্রি বেশ ভালো। আগামী কয়েকদিনে আরও ভিড় বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।”
জাকিয়া জেসমিন নামের এক ক্রেতা বলেন, “শেষ মুহূর্তে ভিড়ের কারণে এ🅺 বছর ঈদের কেনাকাটা একটু আগেই সেরে ফেলার ইচ্ছা ছিল। সেই উদ্দেশ্যে বাজারে এসে দেখি উপচেপড়া ভিড়। ক্রেতার সঙ্গে কথা বলার সময়ই নেই বিক্রেতার। দাম চাইছে গলাকাটা। এর মধ্যেই মেয়ের জন্য পোশাক কিনলাম। এখনো কেনাকাটা অনেক বাকি।”
আনিসুর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, “পরিবারের সদস্যের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টাকার কাপড় কিনলাম। গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক ✅বেশি। সামর্থ্যে যা কুল🦋াচ্ছে তাই কেনার চেষ্টা করছি।”
শহরের নিউ মার্কেট এলাকার সবুজ বিপনীবিতানের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, “রোজার শুরুতে ক্রেতা কিছুটা কম হলেও ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে। খোঁজ নি♋য়ে জানতে পেরেছি জেলা শহর ছাড়াও নকলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার ব্যবসায়ীরাও এবারের ঈদে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশ ভালো সারা পেয়েছেন।”
এদিকে ঈদকে ঘিরে বেচ🎃াবিক্রি জমে উঠেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। বꦍলতে গেলে ফুটপাতেই এখন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের ঈদের প্রধান বাজার।