• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


যৌন হয়রানির অভিযোগে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার অপসারণ দাবি


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
যৌন হয়রানির অভিযোগে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

শরীয়তপু♏রের গোসাইরহাট উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে আইসিভিজিডি, বেতনের টাকা কর্তন, মাতৃত্বকালীন ভাতায় ঘুষ লেনদেনের অভিযোগসহ গভীর রাতে নারী শিক্ষিকাদের মোবাইলে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে তার অপসারণের দাবি করেছেন ভুক্⛄তভোগীরা।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যাল𒁏য় চত্ত্বরে ভুক্তভোগী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও জেন্ডার প্রোমোটাররা মানববন্ধন করে এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, “যোগদানের পর থেকে আফজাল হোসেন কিশোর কিশোরী ক্লাবের শিক্ষার্থীদের ঠিকমতো নাস্তার টাকা না দেন না। তিনি গর্ববতী মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা পেতে হাজার টাকা নেওয়🎃ার প্রꦐস্তাব দিয়েছেন। এছাড়াও আইসিভিজিডির ১৬৯০ জন থেকে ১৬০০ টাকা করে কেটে রেখে ২৮ লাখ টাকার দুর্নীতি, শিক্ষকদের ঠিকমতো বেতন না দেওয়া, গভীর রাতে নারী শিক্ষককে ফোন করে কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত আফজাল হোসেন।”

এতে কিশোর কিশোরী ক্লাবসহ উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবাগ্রহীতারা। আফজাল হোসেনকে দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীন কর্মকর্তা উল্লেখ্য কꦍরে তার অপসারণ দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।

মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের শিক্ষক রাবেওয়া লিমা বলেন, “আফজাল হোসেন কোথাও শূন্য পদ থাকলে তার পছন্দের মানুষকে কিংবা টাকার বিনিময়ে সেই স্থানে নিয়োগ দেন। কিন্তু কোনো নিয়োগ পরীক্ষা হয় না। তিনি নারী শিক্ষকদের অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন। অফিসে যখন কেউ না থাকেন, তখন তিনি নারী শিক্ষকদের অফিসে যেতে বলেন। গোসাইরহাটে এমন দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীন কর্মকর্তা চাই না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তার অপসারণ দাবি করছি।”

জেন্ডার প্রꦰমোটার তানজিলা আফরিস বলেꦺন, “আফজাল হোসেন বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ২৮ লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়েছেন। এছাড়াও স্বজনপ্রীতি দেখিয়ে তার অফিসের এক কর্মচারীর তিনজন স্বজনকে তিনি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি আমাদের প্রকল্পের শিক্ষকদের ঠিকমতো বেতন দেন না। এছাড়াও তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নাস্তা বাবদ যে টাকা ধরা হয়েছে তার থেকে কেটে রাখেন। আমরা এ বিষয়ে ওনাকে কিছু বলতে গেলেই বাজে আচরণ করেন। আমরা ওনার অপসারণ চাই।”

শরীয়তপুর মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের💦 উপপরিচালক রাফিয়া ইকবাল বলেন, “আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ফাইলটি আমি অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। অধিদপ্তর যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।”

Link copied!