লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি 𝄹বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানꦇে ঢুকার কারণে সাপের উপদ্রব বেড়েছে আশঙ্কাজনকহারে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে রাত সাড়ে ৯টায় পর্যন্ত সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে স൩দর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ জন। এর মধ্যে দুই 🌄শিশুও রয়েছে।
এ নিয়ে গতꦬ কয়েকদিনে সদর হাসপাতাল থেকে মোট ৭০ জন সাপে কাটা রোগী চিকিৎসা নিল।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অরুপ পাল এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বন্যায় বাসা–বাড়িতে পানি ওঠꦿার কারণে সাপের বিচরণ বাড়ছে। সাপ নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজছে। যেহেতু সব জায়গায় পানি আর পানি। তাই বাসা–বাড়িতে কোথাও জায়গা পেলে সেখানে সাপ লুকিয়ে থাকে। সাপের উৎপাত বাড়ার কারণে সেখানে-সেখানে মানুষকে আক্রমণ করছে। আহতদের চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে সাবধানে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয়রা জানাꦯয়, লক্ষ্মীপুরের চারটি পৌরসভা ও ৪৫টি ইউনিয়নে প্রায় ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দী। এতদিন বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মানুষের ঘরবাড়ি ডুবে ছিল। গত দুদিন ধরে ফেনী ও নোয়াখালীর বন্যার পানি রহমতখালী ও ডাকাতিয়া খাল হয়ে লক্ষ্মীপুরে ঢুকে পড়েছে। এতে সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের চন্দ্রগঞ্জ, চরশাহী, দিঘলী, মান্দারী, বাঙ্গাখাঁ, উত্তর জয়পুর ইউনিয়নসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও প্রায় চার ফুট পানিতে ডুবে আছে জনপদ।
রামগতি ও কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা-হাজীগঞ্জ বেড়ির পশ্চিম পাশে ভুলুয়া নদীতে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে প্রায় ২৫ দিন ধরে পানিতে ডুবে আছে বিস্তীর্ণ জনপদ। রামগতি-কমলনগর🔯 ও নোয়াখালীর আন্ডারচর ও চরমটুয়া গ্রামের তিন🐠 লক্ষাধিক মানুষ এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
জলাবদ্ধতার এ পানি কোথাও সরছে না। শনিবার দিনব্যাপী লক্ষ্মীপুরের আকাশে সূর্যের হাসিꦆ থাকলেও মানুষের চেহারা ছিল বিষাদে ভরা। পানিবন্দী এসব এলাকায় গর্তে থꦯাকা সাপ বের হয়ে এসেছে। এতে বাসাবাড়ি ও মাঠেঘাটে কাজ করার সময় সাপগুলো মানুষদের কামড়াচ্ছে।