২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকায় সেই প্রতিযোগিতা চলাকালীন সদ্য আইসিসির আম্পায়ারিংꦇ প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছিলেন আলিম দার। বিশ্বকাপ চলাকালীন তার কন্যাসন্তান মারা গেলেও সেই খবর তাকে দেয়নি পরিবার। এত দিন পর স্মৃতিচারণ করলেন পাকিস্তানের এই আম্পায়ার।
একটি অনুষ্ঠানে ২১ বছর আগের কথা টেনে আনেন দার। তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের একেব🍌ারে শুরুর দিকের কথা। সবে আইসিসির প্যানেলে সুযোগ পেয়েছিলাম। তাই সেই বিশ্বকাপ আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই সময়ই আমার ছয় মাসের কন্যা মারা যায়। পরিবার জানত, খবর পেলেই আমি বাড়ি ফিরে যাব। তাই আমাকে খবর দেওয়া হয়নি।’
যদিও পরে সেই খবর পেয়ে যান দার। তিনি বলেন, ‘প্রায় এক মাস আমি সে🍒ই খবর পাইনি। জোহানেসবার্গে একটা ম্যাচের আগে পাকিস্তানের এক ব্যক্তি আমার কাছে এসে শোক প্রকাশ করেন। তখন আমি বিষয়টা জানতে পারি। খুব বড় ধাক্কা খেয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে আইসিসিকে বলে দেশে ফিরে গিয়ে♉ছিলাম।’
পাকিস্তানের কোনও সংবাদমাধ্যমেও দারের কন্যার মৃত্যুর খবর ছাপা হয়নি। দার বলেন, ‘আমি দেশে ফিরে জানতে পারি যে, আমার বাবা সংবাদমাধ্যমের কাছে অনুরোধ করেছি🌼লেন কোনও খবর না ছাপতে। 🍌তাই আমি কোনও খবর পাইনি।’
কন্যার মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন দারের স্ত্রী নোশাবা বানুও। তিনি বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই আমাদের কন্যা জাভেরিয়া অসুস্থ ছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিল, ও বেশি দিꦉন বাঁচবে না। মাত্র ছয় মাস বয়সে ও মারা যায়। সেই সময় আমার স্বামী দক্ষিণ আফ্রিকায়। ওকে বিরক্ত করতে চাইনি। তাই আমরা খবর দিইনি। কিন্তু ও জানতে পেরে যায়।’
২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আম্পায়ারিং করেন দার। ১৪৫টি টেস্ট, ২৩১টি এক দিনের ম্যাচ ও ৭২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।𓂃 গত বছরই আম্পায়ারিং থেকে অবসর নেন দার।