১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা বলে মনে করেন 𝕴আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম𓆉্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যার প🎶্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমান এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রধান কুশীলব খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (🧸ডিইউজে) ১৫ ও ২১ আগস্টের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাকে হত্যা করতে চেয়েছিল অন্যদিকে ২১ আগস্ট হামলার মাধ্যম𝄹ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে হত্যা করে দেশকে তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল বিএনপি।”
হাছান মাহমুদ বল🎶েন, “বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাদের প্রধানমন্ত্রীর শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আমি বলব, খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরꦺুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা শিষ্টাচার জানেন না। তাদের শিষ্টাচার শিখতে হবে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাই দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন খালেদা জিয়ার পুত্র কোকোর মৃত্যুতে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাকে ঢুকতে না দিয়ে ২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রেখেছিল এটা কী ধরনের শিষ্টাচার? প্রধানমন্ত্রী যখন খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন কথা বলার জন্য, তখন তিনি যে ভাষায় কথা বলেছেন, সেটা কী ধরনের শিষ্টাচার? ২১ আগস্ট তৎকা𒊎লীন বিরোধী দলের নেত্রী আহত হলেন সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া বললেন তাকে কে মারতে যাবে? তিনি সঙ্গে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। এটা কী ধরনের শিষ্টাচার? মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত🦄্রীর শিষ্টাচারের কথা বলেন, শিষ্টাচার আমাদের শেখাবেন না। শিষ্টাচার খালেদা জিয়া ও আপনাদের শেখা উচিত।”
মন্ত্রী বলেন, “গুম খুন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অবশ্যই সংবাদ পরিবেশিত হবে কিন্তু তাদের আমি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাব দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ বন্ধ করা। ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে♕ শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালানোর জন্য ২৪ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা এবং সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপহাস করা।”
২১ আগস্টের হামলা নিয়ে সংসদে তখনকার বি🅰রোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সংসদে একটি নিন্🌞দা প্রস্তাব আনার জন্য বলেছিলেন, খালেদা জিয়া সেটি করতে দেননি বলে জানান মন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, “২৪ জন নিহত হলেন, সংসদের ব꧂িরোধীদলীয় নেত্রী আহত হলেন তারপরও নিন্দা প্রস্তাব আনতেꦉ দেননি। এটা কী মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়?”
মানবাধিকার নিয়ে যারা লেখেন তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান যাদের রাতের অন্ধকারে কোনো বিচার ছাড়া ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলেন, তাদের পরিবার রাস্তায় রাস্তায় মানববন্ধন করেছেন। ফাঁসি দেওয়ার তিন মাস পরে রায় হয়েছিল। বিচারের আগেই ফাঁসি দ🦹িয়েছিলেন। এসব হলো সবচেয়ে বড় মানবাধ🍸িকার লঙ্ঘন।”
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজ𓄧ে) সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম 🐻সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম প্রমুখ।