দেশের জনসংখ্যা ১৭ লাখ বেড়ে মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ। এরমধ্যে নারী ৮ কো📖টি ৭৩ লাখ এবং পুরুষ ৮ꦯ কোটি ৪২ লাখ। অর্থাৎ দেশের পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৩১ লাখ বেশি।
রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনে প্রকাশিত বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটাসটিক্স-২০২৩ জরি♎প প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে বিবিএস।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে সর্𒁃বশেষ চূড়ান্ত জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। ফলে দেশে নতুন করে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ ৬ไ১ হাজার ৮৯ জন।
বয়সভিত্তিক জনসংখ্যার বিন্যাস মধ্যে, ০-৪ বছর বয়সী ১০ দশমিক ২২ শতাংশ, ৫-১৪ বছর বয়সী ১৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ১৫-২৪ বছর বয়সী ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ২৫-৩৯ বছর বয়সী ২২ দশমিক ২৮ শতাংশ, ৪০-৪৯♓ বছর বয়সী ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ৫০-৫৯ বছর বয়সী ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ৬০-৬৪ বছর বয়সী ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ৬৫+ বছর বয়সী ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।
২০২৩ সালে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল পরিসংখ্যানিকভাবে অপরিবর্তিত রয়েছে, যা ৭২ দশমিক ৩ বছর। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির ꧒হার (RNI) ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ যা ২০২২ সাꦍলে ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। লিঙ্গ অনুপাত কিছুটা নিম্নমুখী যা ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েছে ৯৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব এক হাজার ১৭১ জন। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯ দশমিক ৪, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯ দশমিক ৮। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ২০২২ সালের ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ সেই তুলনায় হ্রাস পে♔য়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে প্রসবের হার ২০২২ সালের (৪১ দশমিক ৪%) তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬ দশমিক ১ শতাংশ যা ২০২২ সালে 💟ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে🌠 ছিল ১৫৩ জন। মৃত্যুর শীর্ষ দশ কারণের প্রথম কারণ-হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ০২ শতাংশ এবং দ্বিতীয় কারণ মস্তিষ্কে রক﷽্তক্ষরণে মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। পুরুষদের প্রথম বিবাহের গড় বয়স ২৪ দশমিক ২ বছর এবং নারীদের ১৮ দশমিক ৪ বছর। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পল্লিতে আগমনের হার ২০ দশমিক ৪ এবং শহরে আগমনের হার ৪৩ দশমিক ৪। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিগমন প্রতি হাজারে ৬ দশমিক ৬১ জন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ জন। আন্তর্জাতিক আগমন/বহিরাগমন প্রতি হাজারে ২৯৭ থেকে হ্রাস পেয়ে হয়েছে ২ দশমিক ৩৭ জন।
২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ সালের (৬৩ দশমিক ৩%) তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে হয়ে༺ছে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২২ সালের (১৬ দশমিক ৬২%) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ হয়েছে। খানার আকার ২০২২ সালের ন্যায় ২০২৩ সালেও অপরিবর্তিত রয়েছে যা ৪ দশমিক ২ জন। তবে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী খানাপ্রধানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এটি ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০১৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
অপরদিকে, পুরুষ খানাপ্রধান ২০২২ সালে ছিল ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০২৩-এ হার হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৮১ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৫৩ শতাংশে। সাত বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনসংখ্যার সাক্ষরতা🤡র হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৪ দশমিক ৪) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
এছাড়া, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণের ꧙সংখ্যা ২০২২ সালের (৪০ দশমিক ৬৭%) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ হয়েছে। ৫+ বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে, ১৫+ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩ দশমিক ৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৩ সালে ১৫+ বছর বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার ৫০ দশমিক ১ শতাংশ।
এ🌃র আগে ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ। তবে ২০১১ সালের আদমশুমারিভিত্তিতে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ।