বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী🧔র বলেছেন, বর্তমান দেশে কেউ দরবেশ, কেউ মাফিয়া, কেউ হুজুর। আজকে পত্রিকা খুললে শুধু লুট আর লুটের খবর। কারা লুট করছে? যারা বড় বড় কর্তা। সেই আর্মির প্রধান, পুলিশের সাবেক আইজি তারা কী করেছে? সংসদে ভদ্রলোক কয়জন খুঁজে পাবেন? বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করছে। রিজার্ভের ডলার ⛦লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। শেয়ার বাজারে রথি মহারথিরা লুট করছে। তারা এতো বড় মানুষ তাদের পাশে যাওয়া যায় না।”
রোববার (২ জুন) দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কওথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ক্ষমতাসীন সরকার দেশপ্রেমিক নয়, ওরা বর্গী। সেজন্যই দেশের টাকা লুটে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা আজ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। জাতি এখন দ্বিধা বিভক্𒉰ত।”
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার কথা স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “জিয়াউর রহমান তো নিজে রাজনীতিতে আসেননি। তাকে নিয়🍸ে আসা হয়েছিল। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্ব দ🧸েখে ৭৫ সালে সৈনিকরা তাকে ফের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি জানলে আশ্চর্য হতে হবে। তিনি দেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন। ক্ষম♉তায় আসার পর দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুসংহত করতে উদ্যোগ নেন। সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক। সেজন্যই সকল রাজনৈতিক দল তার ওপর আস্থা রেখেছিল। কমিউনিস্ট পার্টি ও মোজাফফর সাহেবের ন্যাপ জিয়াউর রহমানের ১৯ দফাকে সমর্থন দিয়েছꦦিলেন।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমি জা🔯মায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না। কিন্তু তাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। নিজেরা নিজেরা পড়ালেখꦦা করে ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।”
বর্তমান সরকারের সমালোচনা ক💞রে বিএনপꦇি মহাসচিব বলেন, “আজকে চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৫০ ভরি সোনা গায়েব হয়ে গেছে। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই।”
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান 𝐆ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।