রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের একটি কক্ষে আগুন দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার বাইরে ফায়ার সার্ভিসের একটি গ✨াড়ি অবস্থান করলেও কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি প্রধান দুটি ফটক তালাবদ্ধ থাকার কারণে। আগুনে কিছু নথিপত্র ও আসবাব পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে এ ঘটনা 🐼ঘ✅টে বলে দাবি চকবাজার থানা-পুলিশের।
এদিকে বিচারকাজ বন্ধ করে মা🐬ঠ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবিতে ওই এলাকায় সড়ক অবর✅োধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাওয়া পুলিশ ও এপিবিএ𝄹ন সদস্যদের সেখানে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেনাবাহিনী।
বুধবার রাতভর আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভꦍ করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওꦯয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ১৫ বছর আগের এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে🐷 কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার। আজ থেকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জামিন শুনানি শুরু হওয়ার কথা।
তবে আদালত উঠিয়ে দেওয়ার দাবিতে মাঠে নেমেছেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, বিচার কাজ চলমান থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্ন হয়। এর আগে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও কর্ণপাত করেনি তারা। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থ🌸ীরা সড়ক অবরোধ করেন। আজ বিচারকাজ শুরুর বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেখানে অবস্থিত অস্থায়ী আদালতে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ তাদের। কারা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে মাঠটি দখল করে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে আদালত পরিচালনা করছে। তারা মাঠ দখলমুক্ত করতেও চান।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগাম🧸ী এক ঘণ্টার মধ্যে মাঠের বিষয়ে সমাধান না আসলে শিক্ষার্থীরা সমন্বয় করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হ𝓡বে।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার ওসি রেজাউল হোসেন বলেন, পুলিশ আলিয়া মাদ্রাসার ভেতরে অবস্থান করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পুল𒅌িশ সতর্ক൩ রয়েছে। এর মধ্যেই বাইরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।
ওসি বলেন, আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ তো অনেক বড়, দুটি গেট তালাবদ্ধ ছিল। বাইরে ছিল ফায়ার সার্ভিসের এক𒁃টি গাড়ি। আজ ভোরে অন্ধকারের মধ্যে কে বা কারা আদালতের একটি কক্ষে আগুꩵন দেয়। এতে কিছু কাগজপত্র আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
কার🏅া কাজটি করেছে সেটি জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসকে কোনো কাজ করতে হয়নি। যদিও এর আগে গত ৫ আগস্টেই এই মাদ্রাসায় স্থাপিত আদালত প্রায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি ওসির।