রাজধানীর আদাবর থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় 🌠ভাঙারির দোকানে পুরোনো গ্যাস সিলিন্ডার ভাঙার সময় বিষাক্ত গ্যাসে কবির হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়𝕴েছে। এই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনার পর দোকানদার কালুর ছেলে শান্তকে (১৯) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ জুন) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াসিন বলেন, ভোরে গ্যাস সিলিন্ডার পরিষ্কার করার সময় গ্যাসের গন্ধ বের হচ্ছিল। তখন কয়েকজন দোকানদার কালুকে বলেন, কী পরিষ্কার করছেন, এত গন্ধ বের হচ্ছে। তিনি গ্যাস সিলিন্ডার পরিষ্কার কর🌟া হচ্ছে বলে জানান। এরপর আমরা শুনি ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গেছেন এবং একজন মারা গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্যাস সিলিন্ডার কাটার সময় গ্যাস বের হয়ে আশেপাশের বেশ কয়েকজনকে অসুস্থ করে। তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে✅ নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে একজন গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মামাতো ভাই রুহুল আমিন বলেন, “কবির কয়েকদিন আগে ঢাকায় আমার বাসায় বেড়াতে আসে। আজ সকালের দিকে আদাবর বেড়িবাঁধে হাঁটতে বেরিয়েছিল। এমন সময় সিলিন্ডার থেকে নিঃসরিত গ্যাসে কিছু পথচারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমার ভাইও এই গ্যাসের গন্ধে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে দ্রুত তাকে♌ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান আমার ভাই আর বেঁচে নেই।”
গ্যাসের গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়া মো. আবুল হাশেম নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমি এখানে একটি ডেভেলপার কোম্পানির জায়গা দেখাশোনা করি। ভোরে গ🌱্যাসের গন্ধে আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন আমাকে সিএনজিতে করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্যাসের গন্ধে আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসি। এখানে অন্তত ১৫-১৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন, যার মধ্যে একজন মারা গেছেন। তিনি এখানে বেড়াতে এসেছিলেন।”
আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মিন্টু চন্দ্র বণিক জানান, আমরা ভোরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। বিষয়টি সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটকে জানিয়েছি। তারা এসে কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনায় ভাঙারি দোকানদার কালুর ছেলে শান্তকে জিজ্ঞাস🅰াবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে দোকানদার কালু পলাতক। ঘটনাস্থলে আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ꦓরয়েছে।
এদিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম❀্মদ শফিউর রহমান জানিয়েছেন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নয়জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন, পাঁচজন এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন। মোট ১৪ জন রোগী এসেছিলেন। কার্বন মনোক্ꦇসাইড গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।