চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন। র🍎োববার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বরেণ্য এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসে𝓰ছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। সামাজিক মাধ্যমেও চলছে শোকের মাতম।
ঢালি🌳উডের শীর্ষ অভিনেতা নায়ক শাকিব খান প্রবীর মিত্রের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ফেসবুকে লিখဣেছেন, ‘যেখানে থাকুন, শান্তিতে থাকুন . . .’।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও জনপ্রিয় খল অভিনেতা সামাজিক মাধ্যমে প্রবীর মিত্রের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। 🍌ফেসব🔯ুকে তিনি লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই , উনি ইন্তেকাল করেছেন। স্রষ্টা তাকে ক্ষমা করুক। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে নায়ক জায়েদ খান লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। গতকাল তিনি ইন্তেকাল করেছেন। স্রষ্টা তাকে ক্ষমা করুক। বꦉাদ জোহর এফডিসিতে জানাজা, আজিমপুরে শায়িত হবেন। হে আল্লাহ আমাদের সইবার ক্ষমতা দাও।’
চিতꦦ্রনায়িকা মুনমুন শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন । প্রবীর মিত্র দাদাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। পরপর দুজন গুনী শিল্পীকে আমরা হারালাম। আল্লাহ তায়ালা প্রবীর মিত্র দাদাকে জান্♐নাতবাসী করুন, আমিন।
অভিনেতা ও নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দুদুল লিখেছেন,‘ প্রিয় প্রবীর ඣচাচা, আপনি আমাদের মাঝে নেই শুনতে ভিষণ কষ্ট হলো। কিন্তু ইশ্বরের বিধান মেনে নিতে বাধ্য। আমার বাবা আমজাদ হোসেনের প্রায় সব ছবিতে আপনি অভিনয় করেছেন। আপনার জন্য বাবা আলাদা ভাবে যত্ন নিয়ে চরিত্র তৈরী করতেন।আপনি কতো বড় মাপের শিল্পী তা বাংলাদেশের সকলে জানেন। আপনার অভিনয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আপনি আমার পরিচালনাতেও কাজ করেছেন। আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। ভালোব♕াসায় ভালোবাসায় বন্দী আমরা। জীবনের শেষ বাস্তবতা কষ্ট ছাড়া আর কিছুনা। জীবন একটা স্মৃতি মাত্র। ওপারে ভালো থাকবেন চাচা।
নায়ক কায়েস আরজু, অভিনেতার মৃত্যুর তথ্য দিয়ে শোক জানিয়ে লিখেছেন,
‘রুপালি পর্দার নবাব প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্ন𒀰া ইলাইহি রাজিউন)’
৮১ বছর বয়সী প্রবীর 🐈মিত্র বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরে অক্সিজেন–স্বল্প💙তাসহ নানা অসুস্থতায় গত ২২ ডিসেম্বর তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
প্রবীর মিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। প্রবীর মিত্রের তিন ছেলে ও এক মেয়ে—মিঠুন মিত্র, ফেরদৌস পারভীন, সিফাত ইসলাম ও সামিউল ইসলাম। এর মধ্যে সামিউল মারা গেছেন। প্রবীর মিত্রের স্ত্র♑ী অজন্তা মিত্র প্রয়াত হয়েছেন ২০০০ সালে।
১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র।💙 তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্♍রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালꦇের ১ জানুয়ারি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন।
‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয়–পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধꦡিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।