• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩০, ৫ রজব ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসের বয়ান সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কেন বদলে যায়?


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৫, ১১:১৫ এএম
পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসের বয়ান সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কেন বদলে যায়?

নতুন বছরের শুরুতে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে সাহিত্যের পাশাপাশি ইতিহাস নির্ভর বিষয়বস্তুতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। পরিবর্তিত পাঠ্যসূচি নিয়ে শি🎶ক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী এবং অ🌟ভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষত, ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধের বর্ণনায় আনা সংযোজন-বিয়োজন বিষয়টিকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

রোববার (৫ জানু༒য়ারি) বিবিসি বাংলা এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়,ᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚ গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কারের🏅 ঘোষণা দেয়।

এর অংশ হিসেবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও 🐼পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে পাঠ্যবইগুলো পরিমার্জন করে। নতুন বইগুলোয় মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার ঘোষণাসহ বেশ কিছু বিষয়ে সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে।

বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা বা বিষয়বস্তু বাদ দেওℱয়া হয়েছে। নতুন করে স্থান দেওয়া হয়েছে জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের নানা বিষয়বস্তুসহ নতুন গল্প-কবিতা।

বইয়ের ফ্রন্ট ইনারে শেখ মুজꦑিবু🎃র রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের নানা ইতিহাসের তথ্য ও ছবি যুক্ত থাকতো। সেগুলো এবারের বইগুলোয় দেখা যায়নি। সেইসঙ্গে আগের মতো বইয়ের প্রথম অংশ জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতও নেই।

পাঠ্যবইয়ের পেছনের মলাটে শেখ হাসিনার বাণী বাদ ൲দিয়ে যুক্ত হয়েছে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময়ে শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্⭕রাফিতি। পাঠ্যবইয়ের নিয়মিত কিছু লেখক যেমন মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নতুন শিক্ষাক্রম স্থগিত করে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে ৪১ জন বিশেষজ্ঞ ৪৪১টি পাঠ্যবই পরিমার্𒁃জনের কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

নতুন বইয়ে এই পরিবর্তন আনার কারণ হিসেবে এনসিটিবির চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান ইতিহাসে সবার সব অবদান নির্মোহভাবে পাঠ্যবইতে তুলে ধরার প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছেন▨।

তিনি বলেন, মু্ক্তিযুদ্ধে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অনেকের অবদানকে অবহেলা, অবজ্ঞা করা হয়েছে, বিদ্বেষবশত অনেকের বিরুদ্ধেও লেখা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তককে রাজনৈতিক প্রচারমাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার হয়েছে। এজন্য প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা জরুরি হ🦩য়ে পড়েছিল।

সরকার বদল মানে বই বদল?

বাংলাদেশের ইতিহাসে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু পরিবর্তন বিশেষ করে ইতিহাসের নতুন কোনো ব্যাখ্যা যুক্ত হওয়া এবং পুরনো অধ্যায় বাদ দেওয়ার একটি ধারা লক্ষ্য করা যায়। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গ🍃ে তো বটেই একই সরকারের আমলেও একাধিকবার পাঠ্যবই পরিবর্তন নতুন কিছু নয়।

এনসিটিবি’র তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর থেকে শিক্ষাক্রমে আটবার পরিবর্তন এসেছে। ১৯৭৭ সালে প্রথম শিক্ষাক🧜্রম প্রণয়নের পর ১৯৮৬ সালে পাঠ্যবইয়ে পরিমার্জন করা হয়৷ তার পর দফায় দফায় বইয়ে পরিবর্তন আনা চলতেই থাকে।

১৯৯২ সালে প্রাথমিক স্তরে, ১৯৯৫ সালে মাধ্যমিক, ২০০২ সালে প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে, এরপর ২০১২ সালে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয়৷🍌 সর্বশেষ ২০২৩ সালের পরিবর্তন—প্রতিটি ধাপেই পাঠ্যবই পুনর্গঠিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের🃏 মতে, পাঠ্যবই পরিবর্তনের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বড় ভূম🌠িকা পালন করে আসছে।

এ প্রসঙ্গে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হা🦹সান বলেন, আগের ꦍবইগুলোয় শেখ মুজিবর রহমানকে নিয়ে যতো অতিকথন হয়েছে সেগুলো বাদ দেয়া হয়েছে। তার যতোটা অবদান, সেটুকু উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি কোনভাবে বাতিল হন নাই।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা প্রায় ১৫꧒ বছরের শাসনামলে প্রায় প্রতিটি শ্রেণির পাঠ্যবইতে মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হলেও নতুন বইতে মুক্তিযুদ্ধে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অবদানকে হাইলাইট করার চেষ্টা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদ এ কে ফজলুল হক, মুসলিম লীগ ও পাকিস্তান আন্দোলনের প্রধান সংগঠক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ, অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী ও মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, তিনবারের প্রধানমন্🐓ত্রী খালেদা জিয়া মতো ব্যক্তিদের কথা।

মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ও বাংলাদেᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পাঠ্যক্রমে যুক্𝓀ত করার বিষয়টিকে স্বাগত জানালেও কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এবারের পাঠಞ্যবইয়ে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আগের মতোই রাজনৈতিক প্রভাব, ক্ষোভ ও বিভাজনের প্রতিফলন পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান বলেন, পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসের অধ্যায়ে স্বাধীনতার পক্ষে 𒁏কারা ছিল, কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের সবার কথা যেমন থাকা দরকার তেমনি কারা বিরোধী ছিল, রাজাকার, আল বদর, আল শামস তাদের কথাও থাকা দরকার। আজকে কারো অবদানের ক﷽থা বড় করে দেখানো হলো, কাউকে ছোট করা হলো। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক রাজনৈতিক প্রভাব।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান মূল নেতৃত্বে থাকলেও তার অব✅দানকে তুলনা করা বা খাটো করে দেখানোর প্রবণতা রয়েছে অভিযোগ করে এর সমালোচনা করছেন তিনি।

তিনি বলছেন, এবারে মনে হচ্ছে যেন চব্বিশকে দিয়ে একাত্তরকে ম্লান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা ভুলও চিন্তা𓄧। মুক্তিযুদ্ধের মূল নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ছিলেন, তার নাম নিয়ে যুদ্ধ হয়েছে, এটা সবাই জানে। এটা দলের কোন বিষয় না। ইতিহাসে যার যে অবদান সেটা তার মতোই লিখতে হবে।

কিন্তু দফায় দফায় ইতিহাসের পাঠে বার বার এই বদল হওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এর ফলে শিক্ষার🍸 ওপর, শিক্ষার্থীদের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ে সে বিষয়ে তারা নজর দেওয়ার কথা বলেছেন।

অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমানের মতে, প্রতিটি সরকার তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিচালিত করতে চেয়েছে। যখন যে সরকার এসেছে তারাꦡ তাদের মতো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ইতিহাসকে 🍃লিখতে চেয়েছে। ইতিহাস তো কোনো ইচ্ছেমতো লেখার বিষয় না।

তিনি ব্যাখ্যা করছেন, এর ফলে পাঠ্যবই বার বার রাজনৈতিক আদর্শের প্রচার মাধ্যম হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হয়েছে। ফলে বার বার ইতিহাস🐲ের ওপর কাঁচি চলেছে। এতে শিক্ষার উদ্দেশ্য যে ‍‍`জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা‍‍` সেটা বিনষ্ট হচ্ছ🔴ে বলে তিনি মনে করেন।

ইতিহাসের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি করে, তেমনি বিভিন্ন বইয়ে 😼ౠভিন্ন ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা ইতিহাস, শিক্ষার ধারাবাহিকতা এবং শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য ব্যাহত করছে বলে মনে করেন তিনি।

এভাবে রাজনীতির পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ্যপুস্তকের ইতিহাসের পরিবর্তন ঠেকাতে শিক্ষক, অভিভাবক, প্রশাসন, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ সবার সমন্বয়ে একটি নিরপেক্ষ শিক্ষা কমিဣশন গঠন এবং শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার💙 ওপর তিনি জোর দিয়েছেন।

তার মতে, নিরপেক্ষ শিক্ষা কমিশন পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম তৈরি করলে ইতিহাস নিয়ে প্রকৃত ও অভ💙িন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা যাবে। ফলে ইতিহাস নিয়ে আর বিভ্রান্তির সুযোগ থাকবে না। এজন্য পাঠ্যবই প্রণয়ন ও পরিবর্তনের আগে শিক্ষা কমিশনের প্রত্যেক অংশীজনের নিরপেক্ষ পর্যালোচনা জরুরি বলে তিনি জানান।

প্রাথমিকে পরিবর্তন

দ্বিতীয় শ🍰্রেণির বাংলা বইয়ে শেখ 💮মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা ‘সোনার ছেলে’ বাদ দেওয়া হয়েছে।

তৃতীꦺয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বই শেখ মুজিবুর রহমানের একক জীবনী বাদ দিয়ে সেখানে ‘আমাদের চার নেতা’ নামে নতুন এ𒀰কটি অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে।

এতে চার নেতা হিসেবে স্থান পেয়েছেন এ কে ফজলুল হক, আবদুল হামিদ খান ভাসাꦰনী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে প্রত্যেকের ছবিসহ তাদের সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

বইটিকে জুলাই আন্দোলনের বিষয়বস্তু স্থান পেয়েছে। সেইসঙ্গে ই♋ংলিশ ফর টুডে বই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা ইংরেজি গদ্যও।

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বই থেকে বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মমতাজউদদীনের লেখা ‘বাংলার খোকা’ এবং নি🌄র্মলেন্দু গুণের লᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚেখা ‘মুজিব মানে মুক্তি’ কবিতাটি।

একই শ্রেণ🌠ির ‍‍`বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়‍‍` বইয়ে ‍‍`১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ‍‍` শীর্ষক লেখায় শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের ছবির ♉পাশাপাশি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার ছবি স্থান পেয়েছে।

পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ে ‍‍`আমরা তোমাদের ভুলব না‍‍` শীর্ষক প্রবন্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত আবু সাঈদ ও মী𓂃র মাহফুজুর রহ♈মান মুগ্ধের ছবিসহ লেখা যুক্ত করা হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী মীর নাসির আলী তিতুমীরের সঙ্গে তাদের স্মরণ করা হয়।

একই শ্রেণির ‍‍`বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়‍‍` বইয়ে ‍‍`আমাদের মুক্তিযুদ্ধ‍‍` শীর্ষক অধ্যায়ের প্রথম অংশ🀅ে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ছবি প্রথমে বসানো হয়েছে। পাশে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।

তার নীচে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানের ছবিও আছে। পুরনো বই☂য়ে আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ছবি ছিল না।

এই বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং পরদিন বঙ্গবন্ধুর পক্ষꩵে পুনরায় ঘোষণা দেন।

পুরোনো বইয়ে লেখা ছিল, গ্রেফতার🧜 হওয়ার পূর্বে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। সেইসঙ্গে বইটিতে থাকা ‍‍`আমাদের জাতির পিতা‍‍` অধ্যায়টি এবারের পাঠ্যবইয়ে নেই।

মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে পরিবর্তন

ষষ্ঠ শ্রেণির চারুপাঠ বইয়ে ‍‍`কার্টুন ব্যঙ্গচিত্র ও🍌 পোস্টারের ভাষা‍‍` নামে জুলাই আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটি গদ্য যোগ করা হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে রোকনুজ্জামান খানের লেখা ‍‍`মুজিব‍‍` কবিতাটি।

একই শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বই থেকে ‍‍`জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান‍‍` প্রবন্ধটি বাদ দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির ইংলিশ ফর টুডে বই থেকে ‘সন 𒀰অব দ্য সয়েল’ এবং ‍‍`মুজিব ইন স্কুল ডেজ‍‍`সহ তিনটি লেসনও বাদ দেওয়া হয়েছে।

সপ্তম শ্রেণির ‍‍`সপ্তবর্ণা‍‍` বই থেকে সেলিনা হোসেনের লেখা ‍‍`রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন‍‍` গদ্যটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বইয়েꦆ হাসান রোবায়েতের লেখা ‍‍`সিঁথি‍‍` নামে একটি কবিতা যুক্ত করা হয়েছে। এই কবিতা জুলাই বিপ্লবের ওপর লেখা।

অন্যদিক෴ে গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের লেখা ‍‍`শোনো একটি মুজিবরের থেকে‍‍` এবং সুনির্মল বসুর লেখা ‍‍`সবার আমি ছাত্র‍‍` নামে দুটি কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে।

সপ🎃্তম শ্রেণির ইংলিশ ফর টুডে বইয়ে জুলাই বিপ্লবের ওপর লেখা ‍‍`আ নিউ জেনারেশন‍‍` এবং ‍‍`আওয়ার উইনার ইন দ্য গ্লোবাল এরে💦না‍‍` নামে দুটি নতুন লেসন যুক্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে ‘বঙ্গমাতা: আওয়ার সোর্স অব ইন্সপিরেশন’, ‘বঙ্গবন্ধু’স লাভ ফর স্পোর্টস‍‍` এবং ‍‍`𝄹বঙ্গবন্ধু‍‍`স রেসপন্স টু ন্যাচারাল ক্যালামিটিস‍‍` নামে তিনটি লেসন বাদ দেওয়া হয়েছে।

অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বইয়ে জুলাই বিপ্লবের ওপর লেখা সংকলিত গদ্য ‘গণ অভ্যুত্থানের কথা’ যুক্ত করা হয়েছ❀ে।

অষ্টম শ্রেণির ইংলিশ ফর টুডে বই থেকে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড বাংলাদে’ নামে একটি লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে। আর দুটি লেখা য𝓡ুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো꧙ জুলাই বিপ্লবের ওপর লেখা ‘উইমেন‍‍`স রোলস ইন আপরাইজিং’।

নবম-দশম শ্রেণির ⛄বাংলা সাহিত্যবিষয়ক বইয়ে যুক্ত হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের ওপꦕর লেখা একটি সংকলিত গদ্য। অন্যদিকে ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান নামে কোনো বই এবারে থাকছে না। ওই বইয়ে ‘বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু: মানবতাবাদী ধারণা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা’ নামে অধ্যায় ছিল। একই শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি নিয়ে লেখাসহ নতুন তিনটি অধ্যায় যুক্ত হয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির বই থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা বায়ান্নর দিনগুলো এবং ইংলিশ ফর টুডে বই থেকে দ্য আনফরগেটেবল হিস্ট্রি অধ্যায়টি বাদ পড়েছে। এছাড়া বাংলা বইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী ‍‍`অসমাপ্ত আত্মজীবনী‍‍`র একটি অংশ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ছিল𓄧ো যা এবার সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

সেইসঙ্গে তথ্য ও প্রযুক্তি বইটি একাদশের নতুন বইয়ের পিডিএফ তালিকায় পাওয়া যায়নি। আগের 🗹এই বইটিতে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে বিষয়ে লেখা ছিল।

Link copied!