সংস্কৃতির রাজধানী নামে খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যেন প্রকৃতির এক অপরূপ উপহার। দেশের একমাত্র 🌌আবাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য লীলাভূমির এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারদিকে সবুজ বনভূমির মাঝে দৃষ্টিনন্দন লেক আর লাল ইটের তৈরি ইমারত ক্যাম্পাসকে আরওꦓ নান্দনিক করে তুলেছে।
শীতকালেই বিশ্ববিদ্যালয়টি অতিথি পাখিদের আনাগোনায় ভরে ওঠে। পড়াশোনার পাশাপাশি ইতিহাস ও ঐতিহ্য লালনে অবদান রেখে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশꦿ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত বিভিন্ন স্থাপত্য ও ভাস্কর্যগুলো আমাদের গৌরবগাথা ইতিহাসকে প্রতিনিয়ত স্মরণ করিয়ে দেয়।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় থাকা কংক্রিটের তৈরি ভাস্কর্যগুলো দাঁড়িয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি হয়ে। এসব ভাস্কর্য এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে ইতিহাস পৌঁছে দিচ্ছে। ত💯েমনি বায়ান্ন🔴র ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের স্বাধীনতাসংগ্রামকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনার।
এর স্থাপত্যশৈলীতে ফুটে উঠেছে বাঙালি জাতির গৌরবময় ইত𝓀িহাস ও ঐতিহ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের সামনে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন এ শহীদ মিনারটি।
শহীদ মিনারটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সেই সব আত্মত্যাগী ভাষা শহীদের কথা। যারা ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত করেছেন রাজপথ। প্রায় ৫২ ফুট ব্যাস ও ৭১ ফুট উচ্চতাবিশিষ্🌜ট বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনাℱরটি তৈরি করেন স্থপতি রবিউল হুসাইন।
ত্রিস্তম্ভের শহীদ মিনারটির প্রথম স্তম্ভটি বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি, দ্বিতীয়টি মাটি-মানুষ, প্রতিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং তৃতীয়টি স্꧙বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক মুক্তি, গণতান্ত্রিক চেতনার স্বাক্ষর বহন করে।
এ ছাড়া শহীদ♛ মিনারের পাদদেশে নির্মিত ৮ সিঁড়ি দিয়ে দেশের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাসের ১৯৪৭, ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০, ১৯৭১ সা🎐লগুলোকে স্মরণ করা হয়েছে।
দৃঢ়তার প্রতীক ত্রিভুজাকৃতির ঋজু কাঠামোর মিনারের স্থাপত্যশৈলীতে বিধৃত 🃏হয়েছে সেই সব জাতীয় বীরদের ౠবীরত্বগাথা, যারা মায়ের ভাষা, ভূমির জন্য যূথবদ্ধ হয়ে লড়েছেন, জীবন দিয়েছেন।
শহীদ মিনার চত্বরটি জাবি শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম প্রিয় একটি আড্ডাস্থল। সাংস্কৃতিক কর🗹্মকাণ্ডও অনুষ্ঠিত হয় এখানে। এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ন্যায্য আন্দোলনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এ শহীদ মিনার।
২০০৪ সালের ৬ নভে��ম্বর এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমা🌄ন শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন।